খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, দুই জেলায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),খুলনা প্রতিনিধি,রোববার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, : বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। পুলিশ বলছে, অনুমতি না থাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়েছিলো। এছাড়া সংঘর্ষ হয়েছে নাটোর ও গাজীপুরেও।

Advertisement

খুলনায় পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনে মহানগর পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে তা শুরু করতে পারেনি বিএনপি। তিনটার পর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তারা জোর করে কর্মসূচি শুরু করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

Advertisement

এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে খুলনার বেকারির মোড়, হেলাতলা মোড়, বার্মাশীল মোড়, সদর থানার মোড় পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

সংঘর্ষের পর পুলিশ কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির অফিস ঘেরাও করে রাখে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ শতাধিক নেতাকর্মী আটকা পড়েন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Advertisement

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে (শনিবার) বিএনপির একটি প্রোগ্রাম ছিল। আমরা এখানে অবস্থান করছিলাম যাতে শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপির দুটি দল দুই দিক থেকে আসে, স্লোগান দিতে থাকে। এদের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা হঠাৎ করে আমাদের ইটপাটকেল মারা শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্যাসগান ও শটগান ছুড়তে  বাধ্য হই। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

Advertisement

এদিকে, নাটোরের আলাইপুরে একই স্থানে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ইট-পাটকেল ছোঁড়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুরে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্রে করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সভাস্থলে ভাংচুর চালানো হয়। পরে দলের সিনিয়র নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।