১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের কেন্দ্রে ছিলেন তারেক রহমান : গগনজিৎ সিং (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩ : প্রায় ২০ বছর পার হলেও এখনও ঝুলে আছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান মামলা। বর্তমানে মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টে। তবে এরইমধ্যে সেই ঘটনার নতুন দ্বার উন্মোচন করলেন তৎকালীন ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিআইএ’র সাবেক উপপ্রধান মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং। তিনি জানান, ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের কেন্দ্রেবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান ও তার সহযোগীরা।

Advertisement

তথ্যমতে, ২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের একটি সার কারখানার জেটিতে মাছ ধরার দুটি ট্রলার থেকে ধরা পড়ে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ ঘটনার ১০ বছর পর ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ১৪ জনের ফাঁসির রায় দেন চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান।

Advertisement

মামলায় ১৪ জন আসামির মধ্যে তারেক রহমানের নাম না থাকলেও সম্প্রতি তার জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন গগনজিৎ সিং। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে বিএনপি এবং জামায়াত জোটের সহায়তায় ওই অস্ত্র আনা হয়। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের মতো এত বড় চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না।

Advertisement

গগনজিৎ সিং বলেন, ২০০৪ সালের সেই ঘটনার নেপথ্যে সরাসরি বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠরা জড়িত ছিলেন।

Advertisement

এর আগে, উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, অস্ত্রগুলো শুধু উলফা নয়, অন্য বিদ্রোহীদের জন্যও আনা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, অস্ত্রের একটি অংশ যেতো জামায়াতের হাতে।

Advertisement

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অস্ত্রের চালান আসার বিষয়টি জানতেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী। জানতেন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। সবকিছু জেনেও নীরব ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।