ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ : নকল বিল-ভাউচার বানিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কথিত একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কথিত ওই প্রতারকের কাছ থেকে পাওয়া গেছে নানান তথ্যও।
Advertisement
পুলিশ জানায়, জনতা, অগ্রণী, পূবালী ও যমুনাসহ ৩০-৩৫টি ব্যাংকের প্রায় অর্ধশত ব্রাঞ্চে ই-মেইল করেন এ প্রতারক। সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো এবং প্রিন্টারের টোনারের বিল পরিশোধের জন্য মূলত তার এ মেইল।
Advertisement
বিল চেয়ে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের হয়ে ফোনও আসে ম্যানেজারের কাছে। ফোন করে আবার ওই একই বিল পরিশোধের নির্দেশ দেন ব্যাংকটির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাও। ম্যানেজার সরল বিশ্বাসে যাচাই-বাছাই না করেই পরিশোধ করে দেন বিল। আর এ পুরো বিষয়টিই ছিল প্রতারকের ফাঁদ।
Advertisement
এমন অভিনব প্রতারণার ছক তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করেছেন কোরবান আলী নামে কুষ্টিয়ার এ প্রতারক। ব্যাংক ম্যানেজারদের বোকা বানিয়ে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, ব্যাংকের ওয়েবসাইট ঘেঁটে ই-মেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করেন তিনি। তৈরি করেন নকল বিল-ভাউচার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, একই ব্যক্তি যখন দুবার দুভাবে ফোন দেয়, তখন বেশ কিছু ব্যাংকের ম্যানেজার বিব্রত হয়। তারা ৮০-৮৫ হাজার টাকা থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে ৬০-৬৫ হাজার টাকা তাকে নগদ বা রকেটে পেমেন্ট করে দেন।
Advertisement
পুলিশ বলছে, কোরবান শুরুতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিন্টারের টোনার সরবরাহ করতেন। মাঝে মাঝে পণ্য সামগ্রী না দিয়েও নকল ভাউচারের মাধ্যমে বিল তুলতেন। এক সময় টার্গেট করেন ব্যাংক।
Advertisement
ইকবাল হোসাইন আরও বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক বাছাই করে সে এ প্রতারণা করে। ১০টি মেইল করলে ৫টি মেইলে হয়তো ভালো সাড়া পায় সে। আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি, সে প্রায় বছরখানেক ধরে এ কাজ করে আসছে। এভাবে সে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৬০-৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।