ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর প্রতিনিধি,বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ‘আপা’ বলায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপেছেন এক নারী চিকিৎসক । ‘আপা’ নয় তাকে ‘ম্যাডাম’ ডাকতে হবে, বলেন ওই চিকিৎসক।
Advertisement
সম্প্রতি ‘আপা’ ডাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই চিকিৎসকের রেগে যাওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের ইন্টারভিউ করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। তারমধ্যে এক সাংবাদিক ওই চিকিৎসককে প্রশ্ন করেন, আপা আপনার নাম কী?
এ সময় তিনি তার নাম নিরুপমা পাল জানিয়ে রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনি আমাকে আপা বলছেন কেন।’ এ সময় পাশ থেকে আরেক সাংবাদিক জানতে চান তাহলে আপনাকে কী বলতে হবে ‘ম্যাডাম’! তখন চিকিৎসক বলেন ‘হ্যা, অবশ্যই’।
Advertisement
তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন কেন আপনাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে। এ সময় নিরুপমা পাল পাশের একজনকে বলেন, ‘আচ্ছা উনি কেন আমাকে হেরাজ করতেছে বলেন।’ তখন অন্য একজনকে বলতে শোনা যায় আপনিই তো প্রথমে শুরু করলেন।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিরুপমা পাল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি সিঙ্গাইরে একটি মারামারির ঘটনায় আহতদের ইনজুরি সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
Advertisement
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদকর্মী তার বক্তব্য জানতে হাসপাতালে গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিপ্লব শান্ত নামে এক সংবাদকর্মী ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেন। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চিকিৎসক নিরুপমা পালের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি তার স্বামী ডা. পার্থ রিসিভ করেন।
ডা. পার্থ জানান, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তার স্ত্রী মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না।
Advertisement
মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোয়াজ্জেম আলী জানান, চিকিৎসকের রেগে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে এটি স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ছিল। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এরআগে ২২ মার্চ রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুকের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি এবং স্যার সম্বোধন করতে চাপ প্রয়োগ করেন।
(নিরুপমা পাল)