ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ : ক’দিন পরেই শুরু হবে ঈদুল ফিতরে নাড়ির টানে মানুষের ঘরে ফেরা। প্রতিবছরই প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাওয়ার পাশাপাশি স্বজন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে নিজের কর্মস্থল থেকে বেরিয়ে পড়েন।
Advertisement
আর ঈদযাত্রার কথা উঠলেই সবার আগে ভেসে উঠে মহাসড়কে যানজটের কথা। প্রতিবারেরই লাখো মানুষের চাপ সামাল দিতে গিয়ে সড়কে বাধে জট। এবার ঈদযাত্রায় উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের ১৪টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছেন চালকরা।
গেল কয়েক বছর ধরেই বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চার লেন রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে। এবার ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে এই উন্নয়ন কাজই দুর্ভোগ বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য না যেতে পেরে বাড়বে মানুষের ভোগান্তি। এরইমধ্যে দুর্ভোগ কমাতে ৮ এপ্রিলের মধ্যে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছে জেলা পুলিশ। আর প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ রমজানের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
স্বাভাবিক সময়ে দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে। ঈদে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দুই থেকে তিনগুণে। কিন্তু এই রাস্তায় চলাচলে একমাত্র বাধা উন্নয়ন কাজে ধীরগতি। রাস্তার সংস্কারকাজ চলমান থাকায় এবারও ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ১৪টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছেন চালকেরা।
Advertisement
তারা জানান, সংস্কার কাজের গতি বাড়িয়ে রাস্তা মেরামত করলে যানজট কিছুটা কমবে। ঈদ যাত্রায় কম ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।
প্রকল্প কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে ২০ রমজানের মধ্যেই সংস্কার করা হবে।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে চার লেনে উন্নয়ন কাজ চলছে। মহাসড়কের দু’পাশে ড্যাম ট্রাক দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য খানাখন্দে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
আবার অনেক জায়গায় রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। কখনও ধীরগতি, কখনও থেমে থেমে, আবার কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
Advertisement
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছে জেলা পুলিশও। তারা বলছেন, যানজট হলে ঝক্কি তাদেরই সামাল দিতে হয়। সড়কের একটি গর্ত বা ভাঙ্গা অংশের কারণে তৈরি হতে পারে কয়েক কিলোমিটারের যানজট।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসাবেই খ্যাত বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের মহাসড়ক। এই মহাসড়কে চলাচল করে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলার যানবাহন। এসব জেলায় চলাচল করার জন্য অন্য কোন লাগসই বিকল্প না থাকায়, বেশিরভাগ মানুষ মহাসড়কই বেছে নেন।