রাতের আঁধারে জাহাজ বাড়ী দখলে নিয়ে ছেলের নামে মার্কেট তোলেন হাজী সেলিম (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ : পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জাহাজ বাড়ী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল মার্কেট। তিন বছর আগে বহুল আলোচিত সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এক রাতেই দখলে নেয় এই বাড়ীটি। এরপর বড় ছেলে সোলায়মানের নামে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল ‘সোলায়মান টাওয়ার’ মার্কেট।

Advertisement

দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিম জেলে যাওয়ার পরই তার অন্যায়-অনিয়ম-দখলদারিত্বের বিষয়গুলো আলোচনায় আসছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নিচ তলায় জমজমাট মার্কেট। তবে এখনও নির্মানধীন এই বহুতল ভবনটি।

এই সেই পুরান ঢাকার `জাহাজ বাড়ি`

জানা গেছে, ২০১৮ সালে পুরান ঢাকার ২ হাজার ২০০টি ঐতিহ্যবাহী ভবন ও স্থাপনার ধ্বংস, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে তালিকায় ছিল এই জাহাজ বাড়িও। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক বছরের ব্যবধানে ভবনটি ভেঙে দখলে নেয় হাজী সেলিম।

জানা যায়, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত এ ভবনই ঢাকার প্রথম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে বিবেচিত হতো। ওই ভবনের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভবনটি ওয়াকফ এস্টেট হিসেবে ছিল। তারা নিয়মিত ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিনিধিকে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন।

Advertisement

স্থানীয়রা বলছেন, ২০১৯ সালের ৫ জুন ঈদের ছুটিতে ওই মার্কেট যখন বন্ধ ছিলো ঠিক তখনি রাতের আঁধারে হাজী সেলিমের লোকজন পুরো বাড়ি ভেঙে দখলে নেয়। তবে হাজী সেলিমের ভয়ে এই বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজী হয়নি।

ঈদের ছুটিতে এক রাতেই ভেঙে ফেলা হয় `জাহাজ বাড়ি`

শুধু এই জাহাজ বাড়ী নয়, হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল জোরপূর্বক দখল, শহীদ আনোয়ার শফিক হল দখল, অগ্রণী ব্যাংকের জায়গা দখল, জাতীয় বধির সমিতির জমি দখল, অন্যের জমি দখল করে সরদার কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও মদিনা আশিক টাওয়ার স্থাপন, পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জায়গা দখল করে সিমেন্টের গুদাম বানানো, আহসান মঞ্জিলের পাশে নবাব পরিবারের জমি দখল করে গুলশান আরা সিটি মার্কেট স্থাপন।

ছেলের নামে এখানেই মার্কেট গড়েছেন হাজি সেলিম।

ছেলের নামে এখানেই মার্কেট গড়েছেন হাজি সেলিম।

এতো অবৈধ সম্পদ গড়ার পরও হাজী সেলিমকে কঠিন বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি কখনও। তাই দুদকের মামলায় সম্প্রতি জেলে গেলেও বেশিদিন রাখতে পারবে না, এমটাই মনে করেছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

হাজী সেলিমের এই উত্থানের পেছনে  রাজনীতির ক্ষমতাকে মই হিসেবে ব্যবহার করেছেন, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা যায়, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত এ ভবনই ঢাকার প্রথম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে বিবেচিত হতো। ওই ভবনের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভবনটি ওয়াকফ এস্টেট হিসেবে ছিল। তারা নিয়মিত ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিনিধিকে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ২০১৯ সালের ৫ জুন ঈদের ছুটিতে ওই মার্কেট যখন বন্ধ ছিলো ঠিক তখনি রাতের আঁধারে হাজী সেলিমের লোকজন পুরো বাড়ি ভেঙে দখলে নেয়। তবে হাজী সেলিমের ভয়ে এই বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজী হয়নি।

শুধু এই জাহাজ বাড়ী নয়, হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল জোরপূর্বক দখল, শহীদ আনোয়ার শফিক হল দখল, অগ্রণী ব্যাংকের জায়গা দখল, জাতীয় বধির সমিতির জমি দখল, অন্যের জমি দখল করে সরদার কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও মদিনা আশিক টাওয়ার স্থাপন, পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জায়গা দখল করে সিমেন্টের গুদাম বানানো, আহসান মঞ্জিলের পাশে নবাব পরিবারের জমি দখল করে গুলশান আরা সিটি মার্কেট স্থাপন।

ছেলের নামে এখানেই মার্কেট গড়েছেন হাজি সেলিম।

ছেলের নামে এখানেই মার্কেট গড়েছেন হাজি সেলিম।

এতো অবৈধ সম্পদ গড়ার পরও হাজী সেলিমকে কঠিন বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি কখনও। তাই দুদকের মামলায় সম্প্রতি জেলে গেলেও বেশিদিন রাখতে পারবে না, এমটাই মনে করেছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

হাজী সেলিমের এই উত্থানের পেছনে  রাজনীতির ক্ষমতাকে মই হিসেবে ব্যবহার করেছেন, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।