ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ : বাজার চলছে না বাজারের নিয়মে। কারণে-অকারণে যখন-তখন বাড়ছে পণ্য ও সেবার দাম। সঙ্গে আছে ভেজাল-নকলের দৌরাত্ম্য। প্রতিকারে মাঝে মধ্যেই চলছে অভিযান। তবে সুফল মিলছে না। ব্যবসায়ীদের নৈতিক অবক্ষয়কে দায়ী করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বছরজুড়েই চলে নিত্যপণ্যের বাজার, খাবার হোটেলসহ নানা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। মিলছে নানা অনিয়ম-অঙ্গতি। দায়ের হচ্ছে বিধি মোতাবেক জেল-জরিমানা কিংবা মামলা।
এতে থামছে কী অনিয়ম, বন্ধ হচ্ছে কী ভেজাল-নকলের প্রবণতা? পাশাপাশি ন্যায্যদামে মানসম্পন্ন পণ্য বা সেবা পাওয়ার অধিকারই বা কতটুকু নিশ্চিত হচ্ছে। এমন প্রশ্নই ছিলো ভোক্তাদের কাছে।
Advertisement
ভোক্তারা জানান, দিন দিন বাড়ছে পণ্যের দাম, সে হিসেবে ইনকাম বাড়ছে না। যা ইনকাম তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে।
তবে মানসম্পন্ন পণ্য ন্যায্যদামে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি বিক্রেতাদের।
বিক্রেতারা জানান, যে ক্রিমটা একমাস আগেও ছিল ১২০ টাকা, বর্তমানে সেটা ১৭৫ টাকা। ক্রেতারা স্বাভাবিকভাবে আশ্চর্য হয়ে যান।
Advertisement
কিছু নিত্যপণ্যের মূল্য ঠিক করে দেয় সরকার। আর বাকিটা ছেড়ে দেওয়া হয় বাজারের ওপর। দাম ঠিক হওয়ার কথা চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না বাজার। এছাড়া লেবেলের ওপর লেবেল সাঁটিয়ে একই পণ্যের দাম বাড়ানো হয় কয়েক ধাপে।
প্রকৃত উৎপাদন খরচ, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার লাভসহ পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য কত হবে, তা ঠিক করার প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
Advertisement
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।”
ভোক্তা অধিকার সংস্থাটি বলছে, পণ্যের মান ও বাজার নিয়ন্ত্রণে ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “পণ্যের গুণগত মানের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। একসময়ে পণ্যের ক্ষেত্রে বিধিমালা প্রতিপালন করা হতো না। দেশের বড় বড় কারখানাগুলো নিয়মিত পরিদর্শনের আওতায় আনা হয়েছে।”
বাজার তদারকির পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে এখন সচেনতামূলক কার্যক্রম অনেক বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক প্রচার করছি।”
ব্যবসায়িদের নৈতিক স্খলন দূর করা না গেলে ক্রেতাদের হাতে ন্যায্যমূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য তুলে দেয়া কঠিন, বলছেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, “আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের আচরণের যে নৈতিকতা বা মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে কিছুটা শৈথিলতা লক্ষ্য করা গেছে।”