ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),গাজীপুর প্রতিনিধি,সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ : গাজীপুরে নয় বছর বয়সী এক মাদরাসা পড়ুয়া শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেন ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার তেপাড়িয়া গ্রামের মাখনের ছেলে।
Advertisement
গতকাল রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে গাছা থানায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুব উজ জামান।
উপ-কমিশনার বলেন, কুনিয়া পাছর এলাকার বাসিন্দা লতিফ সরকারের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন অভিযুক্ত সোহাগের পরিবার। আর্থিক লেনদেন, কটুক্তিসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ির মালিক লতিফ সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন সোহাগ।
এর জের ধরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় সোহাগ ও তার কয়েকজন সহযোগী লতিফ সরকারের শিশুপুত্র তামজিদকে অপহরণ করে। এ ব্যাপারে শিশুর বাবা গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের তেপাড়িয়া এলাকা থেকে আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনার চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানায়, সুদের টাকা ও বাড়ি ভাড়া দিতে দেরি হলে লতিফ সরকার তার বাবা ও পরিবারকে অপমান করে। এর প্রতিশোধ নিতে গত ১০ মার্চ ভিকটিম তামজিদকে অপহরণ করে সিএনজি যোগে গাজীপুর চৌরাস্তা নিয়ে যান। সেখান থেকে বাসযোগে টাঙ্গাইলের পাকুল্লা গিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নামেন।
Advertisement
পরে আসামির নিজ বাড়ির উত্তর পাশে একটি নিচু জমির মধ্যে ভিকটিম তামজিদকে নিয়ে রাতে অবস্থান করে। পরদিন ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি থানার পশ্চিম পাশে জনতা ঘাটে যান। সেখান থেকে কোষা দিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে ভিকটিমকে নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন চরের মধ্যে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ভিকটিম তামজিদকে দুই হাত চেপে ধরে এবং অন্য হাতে গলায় চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিমের গলায় ধারালো চাকু দিয়ে পোচ মারে এবং মরদেহ বালিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
Advertisement