ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩ :রাজধানীর উত্তরায় তুরাগ এলাকা থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের কারা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় টাকাসহ তিনটি ট্রাংক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাইয়ের ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ এগুলো উদ্ধার করে। এ সময় যে গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করা হয় ওই গাড়ির চালককে আটক করা হয়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে টাকা উদ্ধারের পর ডিবি জানিয়েছিল, ৩টি ট্রাংকে টাকা থাকতে পারে প্রায় ৯ কোটি। তবে পরে গুনে দেখা গেলো টাকা আছে প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ।
Advertisement
শুক্রবার (১০ মার্চ) থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজনের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খোলা হয়। এরপর ওইসব ট্রাংকের টাকা গুনে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, এত মোটা অংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার পর আমাদের ডিবি পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমে কাজ শুরু করে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকাসহ ছিনতাইকারীদের ধরা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া ৪টি ট্রাংকের মধ্যে ৩টি উদ্ধার করা হয়। ট্রাংক ৩টি উদ্ধারের পরপরই ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা যখন গাড়িসহ (টাকা) উদ্ধার করেছি, তখন ট্রাংকগুলো লক ছিল। সাংবাদিকদেরও লক অবস্থায় দেখানো হয়েছে। ট্রাংকের চাবি ছিল সিকিউরিটি কোম্পানির কাছে। ট্রাংকগুলো তুরাগ থানায় নিয়ে থানা পুলিশ ও সিকিউরিটি কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে টাকা গোনা হয়। আমরা ট্রাংক উদ্ধার করেছি, কিন্তু টাকা গুনিনি। গতকাল আনুমানিক সংখ্যা বলা হয়েছিল ৯ কোটি টাকা থাকতে পারে। তাই টাকার সঠিক পরিমাণ উত্তরা বিভাগের পুলিশ বলতে পারবে।
এদিকে, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিনগত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।