ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০৮ মার্চ ২০২৩ : বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় নারীরা ব্যাপক অবদান রাখছেন। অনেক উত্থান আমাদের এই নারীদের। তবে একজন চিকিৎসক নারীর এই উত্থানের পেছনে অনেক কষ্ট, অনেক যন্ত্রণা, অনেক ব্যথা রয়েছে। কেননা একে তো তাকে লেখাপড়া করতে হয় প্রচণ্ডভাবে। শারীরিকভাবে তার মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ছেলেদের সঙ্গে বা অন্যান্য সকল বিষয়ে পরিবেশকে মানিয়ে নিয়ে তাকে লেখাপড়া করতে হয়, তারপর তিনি ডাক্তার হন।
বিশ্ব নারী দিবসে সব নারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জিন্নাত আরা নাসরীন যুগান্তরকে এসব কথা বলেন।
একজন নারী চিকিৎসকের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক আরও বলেন, ডাক্তার হওয়ার পর যখন তার বিয়ে হয়। একটি নতুন সংসারে যান। সেটি একটি নতুন চলার পথ সেটাও কিন্তু খুব একেবারে সহজ নয়। একদিকে লেখাপড়া ক্যারিয়ার অন্যদিকে সংসার অন্যদিকে সন্তান সকলকে রক্ষা করে একটি নারীকে চলতে হয় দীপ্ত কদমে। তার চলার পথে যদি তার সঙ্গীটি তার পরিবারের মানুষগুলো একাত্ম হয়ে তাকে সাহায্য করে তাহলে সেই পথ চলা হয় সুন্দর, সুন্দর থেকে সুন্দরতর। কিন্তু যখন সেখানে বাধা হয় আসে, তখন তিনি বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। একে তো নারী চিকিৎসক হয়ে রাত দিন কাজ করতে হয়, ঘরে বাইরে সমান সকল সময় তারপর যখন বাড়িতে যন্ত্রণা হয়, মানসিক কষ্ট হয় তখন আমরা দেখতে পাই যে অনেক নারী চিকিৎসকও আত্মহত্যার কোলে ঢলে পড়েন। এটি কাম্য নয়।
Advertisement
তিনি বলেন, আজকে আমি নারী। নারী হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবোধ মনে করছি। কিন্তু এই সৌভাগ্য আসতে পায়ে হেঁটে নারীর কাছে কখনও আসে না। প্রতিটি নারীকে দেখা গেছে অসংখ্য যুদ্ধ, অসংখ্য, দূষণ, কান্ডার পদ্বে তারপর তাকে একটি পূর্ণাঙ্গ নারীতে পরিণত হতে হয়। ঠিক নারী দিবস ৮ মার্চ প্রত্যেক বছর ঘুরে ঘুরে আসছে, আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আমাদের সকল নারীকে জানাতে হবে সম্মান।
Advertisement
অধ্যাপক ডা. জিন্নাত আরা নাসরীন বলেন, নারীদের তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। তাদের যথাযোগ্য বেতন দিতে হবে। কোনো বৈষম্য না করে চলার পথে সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে যাবে। তবেই আমাদের দেশের সকল নারীর সুখে থাকতে পারবে।
Advertisement
তিনি বলেন, আজকের নারী দিবস আমরা চাইবো, সকল চিকিৎসক নারী এবং সকল নারী যে যেখানে আছেন অত্যন্ত সুখের পৃথিবীতে বসবাস করবেন। এটি একটি নারীর অধিকার। এটি আজকের নারী দিবসে আমাদের অত্যন্ত চরম চাওয়া। তার জন্য নারীকে তার পরিবার থেকে সাপোর্ট করতে হবে. তার সমাজ থেকে সাপোর্ট করতে হবে এবং সরকারকে সহায়ত দিতে হবে।