ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি হল ছেড়েছেন।
বুধবার (১ মার্চ) হলের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারা হল ছেড়েছেন।
Advertisement
জানা গেছে, হল প্রশাসনের জরুরি সভা থেকে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্ত পাঁচজনের হল থেকে বহিষ্কার করেন। এ ছাড়া বুধবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টার মধ্যে বহিষ্কৃতদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্য তিন বহিষ্কৃত ছাত্রী হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
Advertisement
একই সঙ্গে তাদের সবার বিরুদ্ধে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল সংযুক্তি বাতিলের বিষয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর সুপারিশ প্রেরণ ও হালিমা আক্তার ঊর্মির বিবৃতিতে তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রক্টর বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
ড. শামসুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুজন হল ছেড়েছেন। বাকি তিনজন বুধবারের মধ্যেই হল ছাড়বেন। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হল ছাড়েন ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা ও তাবাসসুম।
Advertisement
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন ঊর্মিসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।