ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদের আগাম খবর পেয়ে অভিযান শুরু করার আগে সড়ক থেকে গাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন মোটর শ্রমিকরা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আনিসুল হক সড়কে অবৈধ পার্কিং মুক্ত করা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
Advertisement
তাই, অভিযানে নেমে ক্ষোভ জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। অবৈধ গাড়ি পার্কিং বন্ধে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উত্তরের প্রশাসন। পুলিশের সমন্বয়ে এ কমিটিতে আছে মালিক সমিতির প্রতিনিধি, ট্রাক শ্রমিক প্রতিনিধি, কাউন্সিলর ও সিটির প্রতিনিধি।
অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে তেজগাঁও-সাতরাস্তা সড়কটি ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের দখলমুক্ত করেছিলেন ঢাকা উত্তরের প্রয়াত আনিসুল হক। সে সময় ট্রাকশ্রমিকরা সিটি করপোরেশন কর্মীদের সঙ্গে সংঘাতেও জড়িয়েছিল। পরে সড়কটির নামকরণ করা হয়েছিলো তার নামেই।
উদ্ধারের পর সড়ক ও ফুটপাত প্রশস্ত করা হয়েছিলো। আর, আলপনা এঁকে সাজানো হয়েছিলো পাশের দেয়াল। কিন্তু, এখন আর সে সবের কিছুই নেই। আবারো, অনেকটাই পুরোনো রূপে ফিরে যায় সড়কটি। আনিসুল হকের মৃত্যুর পুরোনো চেহারাতে ফিরে যায় গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি।
এই সংকট সমাধানে বুধবার সকালে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদে নামেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
Advertisement
কিন্তু, অভিযানের খবর পেয়ে মেয়র আসার আগেই সড়ক থেকে সব ট্রাক-কাভার্ডভ্যান দ্রুত সরিয়ে নেয় মোটর শ্রমিকরা। মেয়র চলে যাবার পরও আবারও ফিরে আসে ট্রাক।
এভাবে বারবার অভিযানের পরও রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেয়র আনিসুল হক সড়ক দখলমুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ জানান আনিসুল হকের উত্তরসূরি আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পার্কিং নিয়ে রীতিমতো লুকোচুরি করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
মেয়র বলেন, আমি আসার কারণে ট্রাকগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। যদিও অনেকে রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে দিব্বি চলে গেছে। সত্যি কথা বলতে হয়, এ সড়কটি নিয়ে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’ হচ্ছে। আমি আসলে চলে যাচ্ছে; পুলিশ আসলে চলে যাচ্ছে; পরে আবারও এসে রাস্তা দখল করছে, আবার চলে আসছে। এটা বাস্তব সত্য চিত্র।
সড়কটি দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযানের কথা উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, এখানে আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই। কিন্তু দুদিন পরই দখল হয়ে যায়। ট্রাকের মালিকরা বলছেন, জায়গা দেই না কেন? আমি বলেছি, আমি যেটা চাই, আগে সেটা করবেন।
Advertisement
সড়কটি দখলমুক্ত রাখতে পাঁচ সদস্যের কমিটি করার কথা জানিয়ে উত্তরের মেয়র বলেন, পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করতে চাচ্ছি। এখানে মালিক সমিতির প্রতিনিধি, ট্রাক শ্রমিক, পুলিশ, কাউন্সিলর এবং আরেকজন ডিএনসিসি প্রতিনিধি থাকবে।
এদিকে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিকরা বলছেন, পরিবহন রাখার জন্য আলাদা একটি স্ট্যান্ড করার কথা ছিলো। তা আজো হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে সড়কের উপর গাড়ি রাখতে হয়। যদিও তাদের এমন দাবির যথার্থতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ওই সড়কের আশেপাশে কেমন কোন বড় জায়গাও খালি নেই।