ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি).ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল প্রতিনিধি, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রীকে নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী এবং তার সহকর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে সাক্ষাৎকার শেষে তেমন কিছু জানাননি অভিযুক্ত দুই জন।
Advertisement
সোমবার সকালে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তাবাস্সুম ইসলাম মীম তাদের বক্তব্য দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে হাজির হন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কয়েক দফায় তাদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযুক্ত ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে তা তদন্ত করলেই জানতে পারবেন। তদন্ত কমিটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
কিন্তু কোন ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে প্রশ্ন করলে সানজিদা বলেন, এ নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তিনি বলেন, চার পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য জমা নিয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে আমি এখন কিছুই বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমেই আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।
সানজিদা আরও বলেন, তদন্ত করলেই আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন, তদন্তের মধ্য দিয়ে যা আসবে সেখানে সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। এ সময় তার বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগের কোনো সত্যতা আছে কি-না জানতে চাইলে সানজিদা ‘নো কমেন্টস’ বলে দ্রুত চলে যান।
অপরদিকে, ছাত্রলীগ নেত্রী তাবাসসুম ইসলাম মীম সাংবাদিকরা কথা বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, কী হয়েছে, না হয়েছে সেটা আমি তদন্ত কমিটির কাছে বলে এসেছি। যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলে দিয়েছি। আপনারা ওখান থেকে জেনে নিন।
Advertisement
অন্যদিকে, সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রেবা মণ্ডল বলেন, তদন্তে কী পেলাম সেটা জনসম্মুখে বলা যাবে না। কারণ তদন্ত কমিটির কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এটি বাইরে প্রকাশ করার বিধান নেই।
তিনি আরও বলেন, অনেকখানি অগ্রগতি হয়েছে। কাজ চলছে, কে অভিযুক্ত সেটি এখন বলতে পারবো না। সিসিটিভির জন্য হল প্রভোস্টকে জানানো হয়েছে। তদন্ত আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করবো। অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে এখন আমরা বলতে পারবো না।
Advertisement
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী এবং শেখ হাসিনা হল শাখার সহসভাপতি তাবাস্সুম ইসলাম মীমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত র্যাগিংয়ের নামে একটি কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করা হয় বলে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন।
এরপরই আইন বিভাগের সভাপতি রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা রোববার থেকে কাজ শুরু করেন। সেদিন তদন্ত কমিটির কাছে নিপীড়নের বিশদ বিবরণ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।