আদালতের হাজতখানা পুলিশকে টাকা দিলেই মেলে আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি).ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি,রোববার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে হাজতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও খাবার পরিবেশনের সুযোগ করে দিতে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে দুর্ধর্ষ অপরাধীদের সঙ্গে সাক্ষাৎও মেলে। স্বজনদেন অভিযোগ, হাজতিদের সঙ্গে সাক্ষাতে তাদের গুনতে হয় ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে প্রকাশ্যেই এমন অভিযোগ করেন হাজতিদের স্বজনরা।

জেলার কসবা উপজেলা থেকে আসা রুবিনা বেগম নামের এক নারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটি মামলায় আমার স্বামী কারাগারে আছেন। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে তোলার কথা ছিল। তাকে কারাগার থেকে নিয়ে এসে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচতলার হাজতে রাখা হয়। আমি হাজতে খাবার দিয়ে এসেছি। এজন্য হাজতের সামনে থাকা পুলিশ সদস্যদের ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে। হাজতে খাবার দিলে এবং দেখা করলে নাকি এখানে টাকা দিতে হয়।’

Advertisement

রুমানা বেগম নামে আরেক নারী বলেন, ‘আমার ছেলেটি ছোট। তাকে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনমাস ধরে সে কারাগারে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তবে কারাগারে গিয়ে দেখা করলে যেমন টাকা দিতে হয়, আদালতের হাজতে দেখা করতেও পুলিশকে ২০০-৩০০ টাকা দিতে হয়। টাকা দেওয়ার পরও এক মিনিট হতে না হতেই ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়।’

একটি মাদক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন লতা আহমেদের স্বামী। তাকে কিছুদিন আগে আদালতে আনা হয়েছিল। তখন স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে সকালে ও বিকেলে ৫০০ করে মোট এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে পুলিশকে।

লতা আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারও আদালতের হাজতে স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছি। এসময় পাঁচ পুলিশকে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে।’

আব্দুল হালিম নামের আরেকজন বলেন, ‘গত ছয় মাসে অন্তত ১০ বার আদালত এলাকায় এসেছি। আমার ভাইকে একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। যতবার ভাইকে আদালতে তোলার তারিখ এসেছে, ততবার হাজতে দেখা করেছি। এজন্য প্রতিবারই টাকা দিতে হয়েছে।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আগে কেউ করেননি। টাকা নেওয়ার বিষয়ে যদি সুনির্দিষ্ট কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement