https://youtu.be/dEatsvQww18
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ইনলাম প্রতিনিধি,শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : মুসলিমদের নামাজ পড়ার পবিত্র স্থান মসজিদকে বলা হয় আল্লাহর ঘর। ইসলামের প্রসার ও প্রচারে দিনে দিনে বাড়ছে মুসলিমের সংখ্যা, সেই সঙ্গে বাড়ছে মসজিদও। কিন্তু সারা বিশ্বে মসজিদের প্রকৃত সংখ্যা কতটি? অথবা বিশ্বের সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি এবং সেই মসজিদ নির্মাণের পেছনের গল্পই-বা কী?
Advertisement
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের অভিমুখে সর্বপ্রথম যে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন, তার নাম ‘মসজিদে কুবা’। ‘মসজিদে নববি’ থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩.২৫ কিলোমিটার। হিজরতের পর মহানবী মদিনায় কাটিয়েছেন প্রায় ১০ বছর। এ সময় তিনি কখনো হেঁটে, কখনো আবার উটে আরোহণ করে কুবা মসজিদে যেতেন এবং সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।
‘কুবা’ মূলত একটি কূপের নাম। এই কূপকে কেন্দ্র করে যে বসতি গড়ে উঠেছে তাকে কুবা মহল্লা বলা হয়। আর এই যোগসূত্রে মসজিদের নামকরণ হয় ‘মসজিদে কুবা’। এ সম্পর্কে ইবনে আবি খাইসামা উল্লেখ করেছেন, কিবলার দিকে এর ভিত্তি স্থাপনের প্রথম পাথরটি মহানবী নিজের হাতে রাখেন। এরপর একে একে পাথর স্থাপন করেন হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত ওমর (রা.)। পরবর্তী সময়ে যৌথভাবে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। মহানবীর নবুয়ত প্রাপ্তির পর এটাই প্রথম মসজিদ, যার ভিত্তি তাকওয়ার ওপর স্থাপিত। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের ‘সুরা তওবায়’ বিশদ বর্ণনা রয়েছে।
Advertisement
ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান ( রা.) তার খিলাফতকালে ‘মসজিদে কুবা’ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরও বেশ কয়েকবার মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়। সবশেষ মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয় ১৯৮৬ সালে। এ ছাড়া মসজিদটি নির্মাণে একধরনের দুর্লভ সাদা পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে পবিত্র কোরআনে দুই ধরনের মসজিদের কথা রয়েছে। তার মধ্যে তাকওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টির ওপর স্থাপিত মসজিদ বলতে ‘মসজিদে কুবা’ ও ‘মসজিদে নববিকে’ বোঝানো হয়েছে। পবিত্র হজ ও ওমরা পালনকালে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে কুবায় নফল নামাজ আদায় করে থাকেন।
Advertisement
বর্তমানে মসজিদটিতে রয়েছে চারটি উঁচু মিনার, ছাদে ১টি বড় গম্বুজ এবং ৫টি অপেক্ষাকৃত ছোট গম্বুজ । এ ছাড়া নারী ও পুরুষের আলাদা প্রবেশপথ, নামাজ ও অজুর জায়গা। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের ভেতরের কারুকাজও বেশ মনোমুগ্ধকর। আছে পবিত্র জমজম কূপের পানি পানের সুব্যবস্থা।