‘ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : তোমরা সবাই আছো, শুধু আমার কলিজার টুকরা ভাইটা নেই। তোমরা ওকে কেন বিদেশে যেতে দিলে? ওকে আটকালে তো আর এমন কিছু ঘটত না। ও নাকি আর কোনোদিন বাড়িতে ফিরবে না। আমি আর কোনোদিন ওকে দেখতে পাব না। এটা আমি মানতে পারব না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলছিলেন কানাডার টরন্টোয় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী আরিয়ান আলম দীপ্তর (২১) বোন অনন্যা আহসান দোলা।
Advertisement
রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার ২৩ নম্বর ভবন ‘জুবিলেশন’র ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন দীপ্ত। গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি উচ্চতর পড়ালেখার উদ্দেশে টরন্টোয় যান। সেখানকার নামি প্রতিষ্ঠান হামবার্গ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ভর্তিও হয়েছিলেন। এক মাস আগে তাঁর ক্লাস শুরু হয়। এর মধ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন।
Advertisement
সেই উপলক্ষে তিন বন্ধু কেক ও ফুল নিয়ে তাঁর ভাড়া বাসায় যান। জন্মদিন পালনের একদিন পর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে তারা গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছিলেন। এই বেড়ানোই যে কাল হবে কে জানত!
Advertisement
কানাডার পুলিশ ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে প্রাণ হারান দীপ্তসহ তিন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তাঁদের আরেক বন্ধু বাংলাদেশের খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে আরিয়ান আলম দীপ্ত (সবার বামে)। ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া