ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : সম্প্রতি বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নিজেই নতুন দল গঠন করবেন। কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না।
শুক্রবার রাতে জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টক-শো ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ এ তিনি এ কথা জানান।
Advertisement
হিরো আলম জানান, এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে। দল করলে পরিবর্তন আনতে চান। নতুন কিছু দিতে চান।
নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় জনসেবা করা পছন্দ করি। সেই উদ্দেশ্য থেকেই রাজনীতি করা। ভোটের আগে বা পরে বড় কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। কোনো দলে যোগ দিব কি না, এখন পর্যন্ত ঠিক করিনি।’
নিজে কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করবেন কি না? অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘সবারই স্বপ্ন থাকে দল করার। আমারও নতুন দল করার ইচ্ছা আছে। আমি দল করলে নতুন কিছু নিয়ে আসব। কোনো হিংসা থাকবে না, বিবাদ থাকবে না, সুষ্ঠুমতো ভোট হবে। যার যাকে ভালো লাগবে, তাকে ভোট দিবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।’
Advertisement
কী রকম রাজনৈতিক দল করতে চান, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হবে—এ প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘নতুন দল করলে পরিবর্তন কিছু নিয়ে আসব। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সমাজ পাল্টাতে হবে। দলের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে। যারা চালাচ্ছেন, একই রকমভাবে চালাচ্ছেন। যিনি ক্ষমতায় আছেন, তার বাবাও আছে, বাবা গেলে ছেলে আছে। তারা কিন্তু দলে আসন ছাড়ছেন না। এতে দলে এবং দেশে কোনো পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের পরিবর্তন করতে গেলে নতুনদের পদ ছেড়ে দিতে হবে। পরিবর্তন আনার জন্য নতুনদের সুযোগ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর মানুষের এতই রাগ যে তারা নতুনদের চাচ্ছে। পুরানো দলগুলোর ওপর এতই রাগ যে লোকজন বলছেন, বড় দলগুলোর কথা বাদ দিয়ে কলার গাছও যদি দাঁড়ায়, তাকে ভোট দিব।’
তবে অনুষ্ঠানের আরেক আলোচক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি কূটচালে হিরো আলমকে ভোট দিয়ে জেতানোর চেষ্টা করেছে। বিএনপির নির্দেশে হিরো আলমের পক্ষে কাজ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।’
এর জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপির একজন নেতাকর্মী তাকে সহযোগিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আর কোনো দিন ভোট করবেন না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব দলের লোকজনই তাকে ভোট দিয়েছেন।’
Advertisement
সম্প্রতি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে লড়েন হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এটির সুরাহাতা পেতে তিনি আদালতেও যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
