ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত বন্ধু হোটেল। ২০১৬ সালে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা (ডিবি) আটক করে নিয়ে যায় হোটেল ম্যানেজার ও বাবুর্চিকে। পরে জাল টাকার সাজানো মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে গেল ২৪ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করে দেন ঢাকা মহানগর সপ্তম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।
Advertisement
ভুক্তভোগী হোটেল বন্ধু হোটেলের ম্যানেজার হাসান মজুমদার বলেন, ‘আমাকে মিন্টো রোডে নেয়ার সময় প্রায় ৮ থেকে ১০ দশ জন গাড়িতে ছিল। এ সময় নয়ন কুমার নামে একজন বলেন, একটা ধান্দা খুঁজে পাইছি।’
ভুক্তভোগী হাসান মজুমদার বলেন, ‘তখন আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে ভয় দেখানো হয়, জাল টাকার মামলার। পরে আমি বললাম, আমার কাছে জাল টাকা পেয়েছেন? তারা বললো, পাই নাই কিন্তু আমরা সিস্টেম করতে পারি।’
এমন কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর তদন্ত করে ডিএমপি। মিথ্যা মামলার সত্যতা মেলায় আদালতে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহবুবর রহমান বলেন, তারা পরিস্থিতির শিকার। একটি ভিডিও ফুটেজ ছিল। সে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তারা নির্দোষ। সার্বিক পর্যালোচনা করে আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, এই ঘটনায় জড়িত ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিললে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
অপরাধ প্রমাণ হলে চাকরিচ্যুতির পাশাপাশি মামলা হওয়া উচিৎ জানিয়ে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তাদরে চাকরিতে রাখা দরকার নেই বরং তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা করা দরকার।
আসামির অবস্থান শনাক্তে সিডিআর গুরুত্বপূর্ণ আলামত হলেও, রহস্যজনক কারণে মামলার প্রতিবেদনে তা যুক্ত করা হয়নি। একে চরম গাফিলতি বলে জানিয়েছে, সাবেক পুলিশ প্রধান।