মেট্রোরেলের স্থায়ী টিকেট বা পাস দিয়েই চড়া যাবে ঢাকা নগর পরিবহনের বাসে। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে চায় ঢাকার নগর প্রশাসন। নগরে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে দিয়াবাড়ি ও আগারগাঁওয়ের দুটি নতুন রুটে নতুন বাস চালুর সিদ্ধান্তও হয়েছে।
Advertisement
এখন পর্যন্ত দু’ভাবে মেট্রোরেলে চড়া যায়। একবার চড়ার জন্য স্বল্প মেয়াদি টিকেট এবং দশ বছর মেয়াদী স্থায়ী টিকেট বা মেট্রোপাস। উন্নত বিশ্বের এমন একটি পাস দিয়েই সব রকম গণপরিবহনে ভ্রমণ করা যায়। এবার সেই পদ্ধতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে ঢাকায়।
আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এই পদ্ধতি পুরোপুরি চালু করা হবে। তখন থেকে মেট্রো পাস দিয়েই চড়া যাবে নগর পরিবহনের সব বাসে। নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে গঠিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে নেয়া হলো এমন সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে সভার সিদ্ধান্ত জানান দুই সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম।
আপাতত ঢাকার তিনটি রুটে চলছে ঢাকা নগর পরিবহনের বাস। মেট্রোরেল যাত্রীদের সুবিধায় ঘাটারচর থেকে আগারগাঁও-উত্তরা হয়ে দিয়াবাড়ি ও ঘাটারচর-আগারগাঁও-বনানী হয়ে বিমানবন্দর সড়কে চলবে নতুন দুটি রুটের বাস।
মেয়র আতিক বলেন, মেট্রোরেলের যাত্রীদের সেবা দিতে আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা যেন বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন, সেটা বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুট চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলবে।
Advertisement
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, টিকেট না কেটে বাসে ওঠার প্রবণতা কোনোভাবেই ঢাকা নগর পরিবহনে বরদাশত করা হবে না। সবাইকে টিকেট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে ওঠতে হবে। ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছে, তাদের আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো, তারা যেন যাত্রী ছাউনি অথবা বাস-বে থেকে টিকেট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে উঠেন।
তিনি বলেন, ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস, সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্স সিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেবো। সেজন্য তাদের ১৫ দিন সময় দেবো।
মেয়র আরও বলেন, তারা যদি নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হবে। বিআরটিসি যদি রাজি হয় বিকল্প হিসেবে তারা এটি পরিচালনা করবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করবো।
Advertisement
দুই মেয়র জানান, দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে নতুন দুই রুটে বাস চালুর আশা করছেন তারা। যদিও পুরনো তিনটি রুটে চলা নগর পরিবহনের বাস নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। বাসগুলো লোকাল সার্ভিসে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।