ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : মুলার শুটকি। শুনতে অবাক লাগলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এই নাম বেশ পরিচিত।
বিজ্ঞাপন
মাছের শুটকি সবার কাছে পরিচিত হলেও মুলার শুটকি অনেকের কাছে অচেনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ খাদ্যের সঙ্গে পরিচিত। শীত মৌসুমে মুলা শুকিয়ে তা খাওয়া হয় সারাবছর।
শীত মৌসুমে যখন হাট বাজার ও ক্ষেতে মুলা পাওয়া যায় তখন শুরু হয় এই শুটকি প্রক্রিয়াজাত করণ। নানা আকার ও আকৃতিতে মুলা কেটে তা শুকানো হয় রোদে। এরপর সারাবছর ধরে সংরক্ষণ করা হয় বাড়িতে। যা বিভিন্ন পদের তরকারিতে শুটকির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মূলত পাহাড়ে যখন পর্যাপ্ত হাট বাজার ও ফ্রিজিংয়ের আধুনিক ব্যবস্থা ছিলনা তখন মৌসুমের বাইরে মুলা, শিমের বিচিসহ নানা সবজি শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হতো। বর্ষাকালে হাট বাজারে যেতে না পারলে কিংবা জুমে ফসলহানি হলে সংরক্ষিত এসব শুকনো সবজি খেতেন পাহাড়ী জনপদের মানুষজন।
তবে দিন বদলালেও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এটি সংরক্ষণ ও খেয়ে আসছেন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। বৈসাবি উৎসবে পাজন রান্নার অন্যতম সবজির একটি এই মুলা শুটকি।
বিজ্ঞাপন
খাগড়াছড়ি কৃষি কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্যিকভাবে সংরক্ষণ করা গেলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই শুটকি জেলার বাইরে পাঠানো সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও মিয়ানমার, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এই সবজি শুটকির ব্যবহার রয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।