বান্দরবানের তুমব্রু শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর, সেখানে মিলেছে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ। পাশাপাশি সেখানে ছিলো আরাকান গোল্ডেন হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্টও। সেই সুড়ঙ্গ ও রেস্টুরেন্ট ব্যবহার হতো আরসার মাদক পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। চ্যানেল 24’কে একথা জানিয়েছেন, আরসার দুই দলত্যাগী সদস্য।
Advertisement
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর সেখানে দেখা মিলেছে কয়েকটি সুড়ঙ্গের। যার কিছু ভিডিও আসে চ্যানেল 24 এর হাতে।
বলা হচ্ছে, সেই সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার হতো রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ আরসার প্রশিক্ষণ, অস্ত্র তৈরি, আত্মগোপন, মিটিংসহ নানা কর্মকাণ্ডে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকমাস আগে দলত্যাগ করা আরসার দুই সদস্য চ্যানেল 24’কে জানান, মোট ৭টি সুড়ঙ্গ ছিল এখানে। যার একটিতে থাকতেন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ, আরেকটিতে সেকেন্ড ইন কমান্ড ওস্তাদ খালেদ। বাকিগুলো ব্যবহার হতো অস্ত্র তৈরি ও অন্যান্য কাজে। সুড়ঙ্গগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেটা দিয়ে সহজেই মিয়ানমারে আসা যাওয়া করা যেতো।
আরসার সাবেক দুই সদস্যের একজন বলেন, ৬-৭টি সুড়ং ছিল। এর একটিতে ওস্তাদ খালেদ থাকতো। একটিতে আতাউল্লাহ থাকতো। আর বাকিগুলো ওরা কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতো।
শুন্যরেখায় শুধু সুড়ঙ্গ নয়, আরাকান গোল্ডেন হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্টও খোলেন আতাউল্লাহ। যার কিছু ছবি এসেছে চ্যানেল 24 এর হাতে। তাদের দাবি, এই গোল্ডেন হোটেল ছিলো মূলত ইয়াবা ও চোরাই পণ্যের গোডাউন। মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে যা পাচার করা হতো বাংলাদেশে।
আরসার সাবেক দুই সদস্যের আরেকজন বলেন, একটিতে গোল্ডেন হোটেল খুলেছিলো। যেখানে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, সিগারেটসহ অবৈধ পণ্য এনে বেচাকেনা করতো। আর ক্যাম্প থেকে ১০-১২ বছর বয়সী মেয়েদের এনে এখানে রাখতো।
Advertisement
শুন্যরেখায় ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা বাড়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। একজন জানান, তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। তারা এখানে থাকলে অবশই এটি আমাদের জন্যে আতংকের বিষয়।
গত ১৮ জানুয়ারি ভোরে তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আরসা ও আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলির পর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়ায় অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।