ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ : চলতি বছরসহ দীর্ঘ এক যুগ ধরে ভুলে ভরা পাঠ্যবই পড়ছে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ভুল তথ্য দিয়ে পাঠ্যবই ছাপানোয় উদ্বিগ্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, পুস্তক প্রণয়নে যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে। এর দায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এড়াতে পারে না। যদিও এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, গবেষকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। বড় ভুল সংশোধন করা হবে।
তথ্যমতে, বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত সরকার। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বই উৎসব শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। তবে ভুলে ভরা বই সরকারের সদিচ্ছার পথে অন্তরায়।
ADVERTISEMENT
চলতি বছর নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে, ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশজুড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়। অথচ পাকিস্তানি সেনারা ২৫ মার্চ কালরাতেই বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করে। ঐ বইয়েরই ২০০ পৃষ্ঠায় লেখা, ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মাদ সায়েমের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। অথচ বঙ্গবন্ধুকে শপথ পড়ান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ১৬ পৃষ্ঠায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সকে পুলিশ ক্যাম্প বলা হয়েছে। এমন আরও কিছু ভুল রয়ে গেছে ২০২৩ সালের পাঠ্যবইয়ে।
ADVERTISEMENT
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম জানান, ভুল সংশোধনে শিক্ষাবিদদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবশ্যই এ ভুল সংশোধন করা হবে। সংশোধণীগুলো সব স্কুলে পাঠানো হবে।
শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মো. কায়কোবাদ জানান, পাঠ্যবইয়ে নিয়মিত ভুল দুঃখজনক। দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের ভুল ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ক্ষতির। তাই এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।