ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ : বিরতিহীনভাবে ৪ হাজার বছর ধরে জ্বলে আসছে আগুন, বলছেন আলিয়েভা রাহিলা। শুধু তাই নয়, বাতাস, তুষার কিংবা বৃষ্টিপাতেও এ আগুন নিভছে না। আগুনের শিখা দেখলে মনে হবে এগুলো নাচছে। এমন অদ্ভুত আগুনের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় গরমে। কারণ এ সময়ে এ আগুন আবহাওয়াকে আরো বেশি উত্তপ্ত করে তোলে।
একে বলা হয় ইনার ড্রাগ যার অর্থ ‘জ্বলন্ত পবর্তমালা’। যেখানে রাহিলা একজন গাইড হিসেবে কাজ করেন।
একে বলা হয় ইনার ড্রাগ যার অর্থ ‘জ্বলন্ত পবর্তমালা’। যেখানে রাহিলা একজন গাইড হিসেবে কাজ করেন।
আজারবাইজানের মাটির নিচে অধিকপরিমাণে গ্যাস মজুদ থাকায় এগুলো অনেক ক্ষেত্রে মাটি ছিদ্র হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এর ফলে দেশটির মানুষ অনেক সময় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে পর্যটকদের কাছে এটির আকর্ষণ বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভেনিসীয় অভিযাত্রী মার্কো পোলো তেরো শতকে যখন দেশটি অতিক্রম করেছিলেন তখন রহস্যময় ঘটনাটি সম্পর্কে লিখেছিলেন। অন্যান্য সিল্ক রোড ব্যবসায়ীরাও আগুনের খবর নিয়ে এসেছিল। তারা এই আগুন দেখে অন্য দেশে ভ্রমণ করার কথা বলে। এজন্য আজারবাইজানের এই দেশটিকে ‘আগুনের ভূমিও’ বলা হয়।
এক সময়ে এ ধরনের ঘটনা আজারবাইজানে অনেক ছিল। কিন্তু যখন থেকে দেশটির প্রশাসন বাণিজ্যিকভাবে ভূর্গস্থ্যের গ্যাস উত্তোলন করা শুরু করে তখন থেকে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে।
ইরানে উৎপত্তি হওয়া জরোষ্ট্রিয়ান ধর্মের প্রভাব এক সময়ে আজারবাইজানে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ ধর্মের মানুষ ভাবতে শুরু করেন আগুনের সঙ্গে মানুষের যোগসূত্র রয়েছে।
তবে বতর্মান সময়ে এ ধর্মের অনুসারিরা এটি আর মনে করেন না। বরং তারা এটি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন।
রাহিলা জানান, রাতে এখানে দারুণ এক পরিবেশ তৈরি হয়। বিশেষ করে শীতের দিনে। যখন তুষারপাত হয় তখন আগুনে হাত দেওয়া যায়। যা মানুষকে ব্যাপাকভাবে রোমাঞ্চিত করে।
প্রাচীন ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও অনেকে মনে করেন ১৯৫০ সাল থেকে এখানে এ ধরনের আগুন জ্বলা শুরু হয়। আজারভাইজান থেকে উত্তরের দিকে ৩০ মিনিট এগোলেই এ দৃশ্যের দেখা মেলে। তবে এখানে রাত্রিযাপন করার তেমন কিছুই নেই। রয়েছে একটি মাত্র ক্যাফে।
সূত্র: সিএনএন