ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২ : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ায় হতাশ প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন এবং বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের পরিবার। তাদের মতে, এর ফলে বিচারের আশা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়েছে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতিকে দুষছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের হাত থেকে পলাতক জঙ্গি সালাহউদ্দীনের হদিস মেলেনি এখনও। সেই ছাই চাপা আগুনে ফের ঘি ঢেলেছে নতুন করে পলাতক দুই জঙ্গি।
এভাবে বড় মাপের জঙ্গিদের ফিল্মি কায়দায় পলায়নে নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই সব সংগঠন নতুন মাত্রা পেলেও প্রশ্ন রয়ে যায়, তাদের হত্যার শিকার পরিবারগুলোর কী হবে?
বিচার নিশ্চিতে আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে দৌড়াতে পরলোকেই চলে গেছেন বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা-মা দুজনই। এখন হতাশায় ডুবে লড়ছেন তার ভাই অনুজিৎ রায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবু কী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোধোদয় হয় না। এখনও দেখছি এ নিয়ে তাদের কোনো পূর্বপ্রস্তুতি নেই। আসলে কী বলব, বুঝতে পারছি না। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি।
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকও বয়সের ভারে ন্ব্যুজ। পরিস্থিতি বিবেচনায় দুষলেন গণতন্ত্রহীনতাকে।
তিনি বলেন, সরকার ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা একবার পালিয়ে গেলে ধরা খুব কঠিন। তরুণরা কেন জঙ্গিবাদে জড়ায়, একটু স্টাডি করে সেটা বোঝা উচিত। সাইকো এনালাইসিস করে তাদের মন বোঝা উচিত। তবে আমাদের দেশে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র থাকলে এটা সম্ভব হতো না।
এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ঘটনা ঘটার পর খড়ের গাদায় সুঁচ না খুঁজে, আগেই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত ছিল পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষের।
এয়ার কমোডর অব. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, বোঝাই যাচ্ছে আগে থেকে তারা প্রস্তুত ছিল। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করেছে। ওরা হয়তো আলাদা সেলে থাকে। তবে তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ হয়। আমি আশ্চর্য হবো না, যদি তারা সেখানে নিজেদের ভাবধারা আরও প্রচার করে।
তিনি বলেন, যা ঘটেছে, তা জঙ্গি সংগঠন বাদে, বাকি সবার জন্যই উদ্বেগের।