ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,রোববার , ৩০ অক্টোবর ২০২২ : গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত হয় জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ও উপস্থাপক আবু হেনা রনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রায় একমাস চিকিৎসার পর ১৫ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান এই কৌতুক তারকা।
গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ লাইনস মাঠের পাশেই গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রনি ছাড়াও আরও অগ্নিদগ্ধ হন মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
এদিকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ফেসবুক হ্যান্ডেলে পেজ থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন আবু হেনা রনি। ভিডিও বার্তার ক্যাপশনে লেখেন, ‘অগ্নিপরীক্ষায় পাস, আলহামদুলিল্লাহ।’
অভিনেতা বলেন, আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের বিশেষ দোয়া ও ভালোবাসায় আমি অনেক অনেক সুস্থ হয়ে গেছি।
ভিডিও বার্তায় রনি বলেন, সবার দোয়া এবং ভালোবাসায় আমি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছি। পুরোপুরি সুস্থই বলা চলে। অল্প একটু জায়গা বাকি আছে, শিগগিরই সেটা ঠিক হয়ে যাবে। এ দীর্ঘ সময়টুকুতে আমার গভীর উপলব্ধি এই, এতে প্রাপ্তিও কম না। আপনারা যে আমাকে এত ভালোবাসেন সেটি বুকের গভীর থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করি। তারপর আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ডাক্তারদের। ডাক্তার সামন্ত লাল সেন এবং অন্য ডাক্তাররা কতটা মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সবাই যত্ন নিয়েছেন। সব সময় যত্ন নিয়েছেন এবং অনেকেই বলেছেন যে আমি রনি বলেই কি আসলে আমার জন্য বিশেষ যত্ন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় আমি সবার সাথে বলতে চাই, আমি যখন এইচডিইউতে ছিলাম তখন আমার মতো ২০ জন আমরা এক রুমে ছিলাম। শুধু আমি নই। এ বিশেষ রোগীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য রোগীদের আলাদা জায়গায় রাখা হয় এবং সবার জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া হয়।
গাজীপুর পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি স্যার দেখতে এসেছেন আমাকে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আইজিপি বেনজীর আহমেদ স্যারের স্ত্রী দেখতে এসেছেন আমাকে। সেটা আমার জন্য আরও বড় প্রাপ্তি। তিনি বলেছেন, আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে না, আমি তোমার ভাই হিসেবে দেখতে এসেছি। এর বাইরেও আরও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা দেখতে এসেছেন ভাই হিসেবে।
রনি বলেন, অনেকেই দেশের বাইরে থেকেও খোঁজ নিয়েছে। বলেছে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আমাদের জানিও। বাইরে তোমার চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা করতে চাই। গাজীপুর পুলিশের কর্মকর্তারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, দেশেই চিকিৎসা হবে আমার।
এছাড়াও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। তবে সেটা কোনো কষ্টের দুঃখ না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে অনেকেই দেখতে এসেছেন তাকে। আগুনে পোড়া রোগীদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এ সময় ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাইরের লোকজনকে রোগীর কাছে যেতে দেয়া হয় না। এ কারণে যারা তাকে দেখতে এসে দেখা করতে পারেননি, তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন আবু হেনা রনি।