ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ষ্টাফ রিপোর্টার,সোমবার , ১৭ অক্টোবর ২০২২ : দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সন্ত্রাসী জাকিরের নাটকীয় উত্থান এবং পতনের ঘটনা বেরিয়ে এসেছে অনুসন্ধানে। যে অনুসন্ধানের পর ভোজবাজির মত পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জাকির এখন কারাগারে। আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়া সন্ত্রাসী জাকির আরও অনেক অজানা গল্প নিয়ে এবারের অনুসন্ধান।
যে জাকিরের বাড়ীতে দিনভর মানুষের ভিড় লেগে থাকত, সেই আলিশান বাড়িতেই এখন সুনসান নিরবতা। গেটও তালাবদ্ধ। সম্মুখে টানানো হয়েছে ব্যাংকের সাইনবোর্ড। ক’দিন আগেও যার কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
এর পেছনে রহস্য আছে। স্থানীয়দের ধারণা, পাওনাদারদের বিভ্রান্ত করতে চতুর জাকিরের নয়া কৌশল এটি।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর গা ঢাকা দিয়েছেন জাকিরের স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়রা। সটকে পড়েছেন সঙ্গীরাও, যারা মানিকারচরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
উড়ে এসে জুড়ে বসা জাকির অর্থের জোরে কত কী যে করেছেন, আড়ালে থেকে গেছে তার আরও অনেক কিছুই।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। তবু পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় এভাবেই আতঙ্ক ছড়াতেন। জয় পেতে মরিয়া জাকির বেছে নিয়েছিলেন অনৈতিকতার সব পথ।
প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আর কালো টাকার গরম ছাড়াও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে দাঙ্গা-হাঙ্গামার কোনো কিছুই বাদ রাখেননি। এমনকি লাশও পড়েছে মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। সহিংসতায় আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভোট উৎসবকে রীতিমত ভয়ংকর রূপ দিয়েছিলেন জাকির।
প্রিসাইডিং অফিসার সরকার মো. মফিজুল ইসলামের মতে, সেদিন ইটপাটকেলের ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলি হয়নি। অথচ ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী ছিলেন তিনি। যেখানে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথাও উল্লেখ রয়েছে। সে সময়ের মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন ওর রশীদ অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকার কাছে নির্বাচনে হেরে যায়। প্রান যায় হারুন ওর রশীদের কর্মী,গুলি বিদ্ধ অনেকে,গুলিতে অন্ধ হয়ে যায় আওয়ামীলীগের লোক।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে-