ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট ২০২২ : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আকরাম খানের বাসার এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশের তদন্ত শেষে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস ৩ নম্বর রোডের দুটি ভবনের মাঝে নিচে পড়েছিল এক তরুণীর নিথর দেহ।
পরে জানা যায় তার নাম সাহিদা আক্তার। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আকরাম খানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। ভুক্তভোগীর বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। তিনি ছাড়াও তিনজন কাজের মেয়ে সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খানের বাসায় কাজ করেন। পুলিশের দাবি, আকরাম খান পরিবার নিয়ে বাইরে থেকে বাসায় ফিরে সাহিদাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলেন, অনুষ্ঠান শেষে তারা বাসায় আসার পরে বাসার কাজের মেয়েকে খুঁজে পায় না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার লাশ আকরাম খানের বাসার ও পাশের বাসার ফাঁকা জায়গায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে দায়ী করে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
ফারুক হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে আসলে মেয়েটি কি আত্মহত্যা করেছে নাকি সে ছাদ থেকে কোনো কারণে পড়ে গেছে। অন্য কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কি না, আমরা তদন্ত করব। তদন্ত করে দেখব-আসলে এই মেয়ের মৃত্যুর রহস্যটা কী?
এ ঘটনায় আকরাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সাহিদা ১৩ বছর ধরে তার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত।