ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২ : মানা হয় না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধ্যাদেশ, অস্ত্রপচার কক্ষ পেরিয়ে রান্নাঘর, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ছড়ায় সংক্রমণ-এভাবেই চলছে বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবা। রাজধানী ঘুরে দেখা যায় আবাসিক ভবনে অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমন পরিবেশের জন্য নজরদারির অভাবকে দায়ী করেন।
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে কোনো ব্যাচেলর হোস্টেল। আদতে এটি ঢাকা জেনারেল হাসপাতলের ওয়ার্ড ও কেবিনের দৃশ্য।
হাসপাতালটি গড়ে উঠেছে আবাসিক ভবনে, যেখানে নেই মানসম্মত পরিবেশ। মানা হয়নি মেডিকেল প্র্যাকটিস, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের বেশির ভাগ শর্ত।
অপারেশন থিয়েটারের সঙ্গেই রান্নাঘর-এমন পরিবেশ অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য। অস্ত্রপচার কক্ষ পেরিয়ে যেতে হয় রান্নাঘরে। একই ফ্রিজে রাখা হয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার।
ঢাকা জেনারেল হসপিটালের পরিচালক মো. মহিউদ্দীন বলেন, রোগীদের সেবার জন্য আমাদেরকে অনেক সময় অনেক কিছু করতে হয়।
হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর হোসেন বলেন, অনেকটা কনজাস্টেড হয়ে গেছে। পুরান ঢাকায় অনেক সময় স্থান পাওয়া যায় না। সুন্দর জায়গা খুব একটা এভেইলেবল না। আমরা এখানে বড় বড় অপারেশন করছি। রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছে।
চানখারপুলে চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালে ১০ বেডের অনুমতি থাকলেও রয়েছে ১৭টি। আর চানখারপুল জেনারেল হাসপাতাল চলছে অদক্ষ ও অপ্রতুল জনবল নিয়ে। পোস্ট অপারেটিভ রুমে যাতায়াতে কোনো বিধিনিষেধ নেই। ২০ বেডের জায়গায় আছে ৩০টি।
এমন পরিবেশে রোগ নিরাময়ের চেয়ে নতুন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবেশ নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হওয়ার তাগিদ এই বিশেষজ্ঞর।
আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, আবাসিক ভবনে কখনও একটি হাসপাতাল হতে পারে না। এখানে দুটো জিনিস আছে। একটা হলো-হাসপাতালে গেলে রোগী একটা রোগ নিয়ে গেছেন, সঙ্গে আরেকটা সংক্রমণ ঘটে। ওটিতে যদি রান্না হয়, সেখানে জীবাণু থাকবেই। দুই নম্বর হলো-আমাদের হাসপাতালগুলোতে অনেক মারাত্মক জীবাণু আছে। কোভিড হাসপাতাল যদি আবাসিক ভবনে হয়, তাহলে কী হবে?
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।