‘আমিই রুবেলের একমাত্র স্ত্রী’ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,১৮ আগস্ট ২০২২ : রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার চাপায় নিহত রুবেলের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন সাত নারী। তার মৃত্যুর পর জানা গেছে তিনি নাকি সাতটি বিয়ে করেছেন। রুবেলের স্ত্রী দাবি করে সোহরাওয়ার্দী মর্গে তার মরদেহ নিতে আসেন সালমা আক্তার পুতুল, নারগিস বেগম, রেহেনা বেগম, শাহিদা বেগম ও তাসলিমা আক্তার লতা। তবে রুবেলের মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্ত্রী শাহিদা খানম।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চর গোলড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে শাহিদা খানমের প্রথম স্বামী প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবার পর শহীদুল ইসলাম রুমান নামে এক ছেলে নিয়ে রুবেলের সঙ্গে ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়। এরপর শাহিদা খানমের চরগোলড়া গ্রামের জমিতে রুবেল ও তার স্ত্রী শাহিদা মিলে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেন। এরপর এ বাড়িতেই বসবাস করতে থাকেন তারা। এরপর তাদের ঘরে সানজিদা খানম রত্না নামে একটি মেয়ে হয়। সে সবেমাত্র এসএসসি পাশ করেছে।

শাহিদা খানম জানান, রুবেলের সঙ্গে তার সাংসারিক জীবন অনেক মধুর ছিলো। কখনও কোন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য বা কোন দ্বন্দ্ব ছিলো না। তার আগের ঘরের ছেলে রুমানকে নিজ সন্তানের মতই দেখতো এবং তার মেয়ে রত্নাকেও অনেক আদর করতো। তাদের ২৩ বছর সাংসারিক জীবনে এ বাড়িতেই বেশি সময় কাটিয়েছে নিহত রুবেল। সপ্তাহের ৩-৪ দিন এ বাড়িতেই থাকতেন রুবেল।

এলাকাবাসীর সঙ্গেও অনেক সুসম্পর্ক ছিলো তার এবং প্রত্যেকটি ঈদই এ বাড়িতে করেছেন। এমনকি তার জাতীয় পরিচয় পত্রও এ ঠিকানায় করেছেন। রুবেল কোনদিন বলেননি তিনি ছাড়া তার অন্য কোন স্ত্রী বা সন্তান রয়েছে। এমনকি তার সন্তানদের কাছেও কোনদিন বলেননি তার অন্য কোন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। এর আগেও রুবেল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন এ বাড়িতেই। তখন তার স্ত্রী বা সন্তান পরিচয়ে কেউ আসেনি বা কোন খোঁজখবর নেননি। এখন যারা তার স্ত্রী বা সন্তান দাবি করছেন তারা সবাই মিথ্যা ও ভুয়া পরিচয় দিচ্ছেন। আর সম্পদের লোভেই তারা এসব করছেন বলে শাহিদা খানম দাবি করেন।

এলাকাবাসী জানান, রুবেল এ বাড়িতে সপ্তাহে ৩-৪ দিন করে সময় কাটাতো। এলাকাবাসীর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিলো। কখনও রুবেলের স্ত্রী বা সন্তানের দাবি নিয়ে এ বাড়িতে কেউ কোনদিন আসেনি।