ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২ : পরপর তিনদিনে ধরা পড়লো চট্টগ্রাম বন্দরে আনা ৫ কন্টেইনার বিদেশী মদের বড় চালান। যা নিয়ে এখন তোলপাড় সর্বত্র। মদভর্তি সবগুলো কন্টেইনারই আনা হয়েছে মিথ্যা ঘোষণায়। গার্মেন্টসের সুতা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের ঘোষণায় আনা হয় এসব চালান। যা আমদানি থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই জালিয়াতি হয়েছে নিখুঁত পরিকল্পনায়। এরমধ্যে চারটি কন্টেইনার বের করতে না পারলেও প্রথম চালানের ২ কন্টেইনার মদ বের করে ফেলে কৌশলে, যা ধরা পড়ে নারায়াণগঞ্জে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই মদ আমদানির জন্য ভুয়া আইপি এড্রেস খোলা শুধু নয় একজন কাস্টমস কমকর্তার আইডি হ্যাক, কাস্টম আনস্টাফিং, স্ক্যানিং ও গেট ডিভিশনে জাল কাগজ ব্যবহার করাসহ সব ধাপেই আশ্রয় নেয়া হয় অনিয়মের। এতে শুধু শুল্ক ফাঁকির চেষ্টাই নয় বিপুল অর্থপাচার হয়েছে বলেও মনে করছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-কমিশনার একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা জাল জালিয়াতি করে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। আপাতত প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে এখানে টাকা পাচার হয়েছে। এই বাড়তি টাকাগুলো মানি লন্ডারিং হয়েছে। এটাতো স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে যায় নাই অর্থাৎ এটা হুন্ডি অথবা অন্য যেকোনও পদ্ধতিতে মানি লন্ডারিং হয়েছে।
ধরা পড়া ৫ কন্টেইনারে প্রায় ৫৮ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা ছিলো। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন সময় মিথ্যা ঘোষণায় ও জালিয়াতির মাধ্যমে ছোটবড় চালান আসলেও মদের এতবড় জালিয়াতি নিকট অতীতে হয়নি। তাই এসব চালানে জড়িত চক্রটিকে খুঁজে বের করতে তদন্তের কথা বলছেন তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী বলেন, এ ধরনের যে ঘটনা ঘটেছে তিনটি ঘটনাই পর পর তিনদিন ঘটেছে। তিনটির জন্যই আমরা তদন্ত করছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা আসলে বুঝবো যে কারা এর পেছনে জড়িত।
জব্দ চালানগুলো এসেছে উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইডাস্ট্রিজের নামে। যার সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে নাম আছে জাফর আহমেদের। তবে নগরীর বারিকবিল্ডিং এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যায়নি কোন অস্তিত্ব।