নানা পেশার আড়ালে মাদকের কারবার, গ্রেপ্তার ৭

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২ : মাদক কারবারি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে কেউ মুদি দোকানি, কেউ ইলেকট্রিশিয়ান, কেউবা বাসের সুপারভাইজার। তারা দীর্ঘদিন ধরে নানা পেশার আড়ালে ইয়াবা ও আইসের কারবার করত।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. রাশেদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

রাশেদুজ্জামান আরও জানান, কিছু ব্যক্তি ঢাকা ও ফতুল্লায় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে তথ্য পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা দল। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস সংগ্রহ করে ঢাকা ও ফতুল্লায় বিক্রি করত। প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের ওপর নজরদারি করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজলের নির্দেশনায় সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি, গুলশান, তেজগাঁও এবং রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম শুক্রবার (২২ জুলাই) ও শনিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা ও ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানকালে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা পাগলা মাজার এলাকা থেকে রফিক উল্লাহকে ১ হাজার পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) গ্রেপ্তার করা হয়। সে মুদি দোকানি। তার বাড়ি টেকনাফে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন বেগুনবাড়ী এলাকা থেকে সরওয়ার কামালকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে শ্রমিক। তার বাড়িও টেকনাফে। একই এলাকা থেকে ইমরান হোসেনকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে ব্যবসায়ী। তার বাড়ি বরিশালে। মহসিনকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ৩ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। মো. মিরাজ শেখকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে অটোরিকশার চালক। তার বাড়ি রাজবাড়ীতে।

রফিক উল্ল্যাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রমনা সার্কেলের বিশেষ টিম শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে  হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে প্রান্ত  ভট্টাচার্য ও মামুনুর রশীদ মিম নামে দুজনকে ১২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। তারা প্রান্ত পরিবহন কোম্পানির বাসের সুপারভাইজার।