প্যালিয়েটিভ কেয়ার: যেখানে মৃত্যু পথযাত্রীদের কষ্ট কমায় (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০২ জুন ২০২২ : এমন অনেকে আছেন যারা বিভিন্ন জটিল রোগের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিয়েও মৃত্যু পথযাত্রী। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের এই অন্তিম সময়ে যতটা সম্ভব কষ্ট কমানো জরুরি। যাকে বলা হয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। দেশে এমন ৬ লাখ রোগী এই সেবা প্রয়োজন। তবে দেশে নেই এ সেবা পাবার পর্যাপ্ত সুযোগ।

ভোলা থেকে এসেছেন তোফাজ্জল হোসেন। পাকস্থলির ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ চিকিৎসা মিললেও সুস্থ হননি। অপেক্ষা এখন অন্তিম সময়ের। ভর্তি আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে।

এই ওয়ার্ডে ভর্তি অন্যরাও একই রোগে তার মতো মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগীদের সুস্থ হওয়ার আর কোনো আশা নেই। চেষ্টা শুধু তাদের শেষ যাত্রাটা যেন কম কষ্টের হয়।

বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম মতিউর রহমান ভূঞা বলেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ারের উদ্দেশ্য হলো ভালো মৃত্যু নিশ্চিত করা। মানুষ তো মারা যাবেনই কিন্তু উনি যেন ওনার মৃত্যুটা সুন্দর, ওনার আত্মীয়স্বজনের কাছে, ওনার কাছে এবং প্রতিবেশিদের কাছে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় সেটাই প্যালিয়েটিভ কেয়ারের মুখ্য উদ্দেশ্য। এজন্য এটাকে গুড ডেথ বলা হয়। যেটা সিমটম ফ্রি, ওনার কোনও ভোগান্তি নেই। উনি সামাজিক, মানসিক ও ভালো অবস্থায় আছেন এবং উনি যেমন ধর্মের অনুসারী ঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে যাতে মৃত্যুবরণ করতে পারেন সেটাও প্যালিয়েটিভ কেয়ারের একটা উদ্দেশ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ৬ লাখ রোগীর এই সেবা প্রয়োজন। কিন্তু রাজধানীর মাত্র দুয়েকটি হাসপাতালে শুধু আছে এটি।

বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম মতিউর রহমান ভূঞা বলেন, বাংলাদেশের বলা হয় প্রতি হাজারে ৫ জন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের রোগী। তবে যদি এর মধ্যে আমরা আরও কিছু রোগী যেমন, নিউরো ডিজেনেটিভ ডিজঅর্ডার, সাইক্রেটিক কিছু ডিজঅর্ডার, বা ডিমেনশিয়া এগুলোকে যদি অন্তর্ভূক্ত করি তখন আমাদের মনে হয় হাজারে তখন ৫-১০ জন হবে। সীমিত পরিসরে আমরা প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার রোগীর ইনডোর সার্ভিস এখানে দিতে পারি। আউটডোর সার্ভিস প্রায় আরও ২ হাজার রোগীর মতো দিতে পারি। আর হোম কেয়ারের মাধ্যমে আমরা প্রায় ৫০০ রোগীর সার্ভিস দিতে পারি।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বেড সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য যে স্পেস দরকার এখনো ততটা আমাদের নেই। ভবিষ্যতে যদি অন্যকোন হাসপাতাল বেতার ভবনে আমরা সেকেন্ড ফেজের কোনও স্পেশালাইজড হসপিটাল করতে পারি তখন আস্তে আস্তে প্যালিয়েটিভ ডেরিয়েটিভ এর বিভাগগুলো আমরা খুলবো।

জেলা হাসপাতালগুলোতে প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ চালুর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।