ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০১ জুন ২০২২ : আট বছর আগে ত্রুটিপূর্ণ বিমান সচল দেখিয়ে বাংলাদেশে এনেছিলেন বিমান কর্তারা। ফলে কাজের কাজ কিছু তো হয়ইনি, উল্টো সরকারের গচ্চা কয়েক হাজার কোটি টাকা। আর এমন অনিয়মে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে বিমান কার্যালয়ে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দোষীদের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা মন্ত্রণালয় আর সংসদীয় কমিটির এমন দাবি করে বিমান বলছে, দুর্নীতি থেকে শিক্ষা নিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি তদন্তে দুদককে করা হচ্ছে সব ধরনের সহযোগিতাও।
২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ারের দুটি বোয়িং এয়ারক্রাফট লিজ নেয় বাংলাদেশ বিমান। সে সময় কোনো বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই আনা উড়োজাহাজ দুটি একই বছরেই যুক্ত হয় বিমানের বহরে।
বছর না ঘুরতেই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিকল হয়ে পড়ে একটির ইঞ্জিন। আর সেটা সচল রাখতেই মিশর থেকে ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে নষ্ট হয়ে যায় সেই ইঞ্জিনও, এরপর তা পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ফলে মেরামতকারী কোম্পানি আর ইজিপ্ট এয়ারের পেছনে গত ক’বছরে বাংলাদেশ বিমানের গচ্চা কয়েক হাজার কোটি টাকা।
অভিযোগ উঠেছে ত্রুটিপূর্ণ জেনেও আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে উড়োজাহাজ দুটি বহরে যুক্ত করেন বিমান কর্তারা। যার তদন্তে নেমে বিমানের কাছে ১৩ ধরনের নথি চেয়েছে দুদক। যদিও বিমান বলছে, জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই তাদের।
বিমান বাংলাদেশের পরিচালক মাহবুব জাহান খান বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো, এখান থেকে বিমান শিক্ষা নিয়েছে। প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
আর আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ মো. মোস্তফা কামাল।
লিজ চুক্তিতে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী, যাত্রী পরিবহন হোক বা না হোক, প্রতি মাসে দুই উড়োজাহাজের ভাড়া হিসেবে দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। ফলে বছরের হিসাবে শুধু ভাড়া বাবদ বিমানের লোকসান গিয়ে দাঁড়ায় ১২০ কোটি টাকা।