ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ৩০ মে ২০২২ : এক কাপ গরম চা কিংবা ফুচকার টক-মিষ্টি-ঝাল। কণ্ঠের তেষ্টাও হয়তো স্বস্তি খুঁজে নেয় ফুটপাতেরই ঠাণ্ডা লেবু জলে। চাইলে এখন সবই মেলে ফুটপাতে। তবে তাতে কতোটুকুইবা হাফ ছেড়ে মানুষ হাঁটে ফুটপাতে?
ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার পথ নেই খুব একটা। এমনিতেই ফুটপাত কম আবার যতটুকু আছে, বেদখলে সেখানেও চলা দায়। তাতে নাগরিক ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি, সৌন্দর্য হারাচ্ছে নগরী।
রাজধানীর ফুটপাত এখন যেনো কারো কাছে জ্যামিতিবক্সের চাঁদার মতোই জটিলসব হিসেব-নিকেশে ব্যক্তিগত এক সম্পত্তি। টাকার অংকে লেনদেন হচ্ছে তা, মিলছে পসরা সাজিয়ে দখলের ভোগও।
তবে সবার গল্প আবার এক নয়। অনেকেই যদিও নিরুপায়, বেঁচে থাকার পাতে দু’মুঠো অন্ন যোগাতে ফুটপাতের ধুলোয় ভাগ্যটাকে কুড়োয়।
এইসব গল্পের ভিড়ে ফুটপাতে কমেছে মানুষের ভিড়। হাঁটা গন্তব্যে মূল সড়কই হয়ে উঠছে তাই বাধ্যগত বিকল্প সমাধান। ফলাফল-ফুটপাত হারাচ্ছে নিজস্বতা, যার বলি পথিক ছাড়া কেইবা আর।
ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন জানান, জনসংখ্যার চাপ এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে ফুটপাতগুলো আজকে আর ফুটপাত নেই। কোন শহরে যদি ফুটপাত না থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে সে শহরেটি বিশৃঙ্খল।
তথ্যমতে, জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়া রাজধানী ঢাকার ১৬৮ কিলোমিটার ফুটপাতের ১০৮ কিলোমিটারই বেদখলে। পাশাপাশি রাজধানীর ৪৪ শতাংশ রাস্তায় কোন ফুটপাতই নেই। আর যেসব স্থানে আছে, তার ৮২ ভাগই চলাচলের অনুপযোগী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস জানান, ঢাকাকে একটি আধুনিক নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে হলে হাঁটার পথ প্রয়োজন, পথচারী বান্ধব পরিবেশ প্রয়োজন। এ জন্য আমরা যখন রাজধানীতে কোন রাস্তা মেরামত করছি বা প্রশস্ত করছি, তখনেই আমরা ফুটপাতের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছি।
নগরপিতার এমন আশ্বাসে স্বস্তি খুঁজে পায় স্বপ্ন। আর স্বপ্নের সে রঙে নিজস্বতা খুঁজে পাক ফুটপাত।