পি কের সহায়তাকারী কারা?

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,সোমবার, ১৬ মে ২০২২ : পি কে হালদারকে (প্রশান্ত কুমার) সহায়তাকারী কারা? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

দুদক আইনজীবীও স্বীকার করেছেন, সহায়তা না করলে তার একার পক্ষে এতো টাকা হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ধরা হবে সবাইকে।


প্রশান্ত কুমার হালদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতারের পর নতুন করে সামনে এসেছে কিছু পুরানো প্রশ্ন। অর্ধযুগ ধরে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে পথে বসালেন তিনি। কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে লোপাট করে পাচার করলেন কীভাবে? যাদের দেখভাল করার দায়িত্ব তারা কেন চুপ ছিলেন? নাকি তারা তাকে সহায়তা করেছেন? তাদের কেন আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না? এমন প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
পি কে হালদার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য মেলে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের জবানবন্দিতে। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রাশেদুল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম মাসিক মাসহারায় পি কে হালদারকে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করতেন। পি কের ক্ষমতার উৎস ও বিভিন্ন অনিয়ম ম্যানেজ করা ছিল এ দুজনের কাজ।

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম ও এসকে সুর দিয়েছেন আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ দুজনের দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসা ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্যতা ছিল পি কে হালদারের। তারা জড়িত থাকতে পারেন।


আর দুদক আইনজীবী বলছেন, তাকে অবশ্যই কেউ সহায়তা করেছেন। পি কে কে ফেরত আনা হলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার যাবে।
দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সময় সংবাদকে বলেন, একটা ব্যাংকের নির্বাহীর পক্ষে এতোগুলো টাকা একার পক্ষে সরানো কি সম্ভব, পাচার করা কি সম্ভব? অবশ্যই না। অবশ্যই এর সঙ্গে রুই-কাতলারা ছিল, কারা ছিল, কীভাবে ছিল যখন জিজ্ঞাসাবাদ করবে পি কে হালদারকে এবং সবগুলো স্টেটমেন্ট মিলিয়ে দেখা যায় অনেক কিছু বের হয়ে আসবে।
পর্যায়ক্রমে সব অর্থপাচারকারীকে ধরা হবে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, অন্য যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত (অর্থ পাচার) তাদের জন্য একটা বার্তা, এ কাজ করে কেউ পার পাবে না। সবাই ধরা পড়বে।    
অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। তাই এ অপরাধের সাজার মেয়াদ ১২ বছর থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা উচিত বলে বিভিন্ন সময়ে অভিমত দিয়েছেন দেশের উচ্চ আদালত।