ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ : হত্যা করা হয়নি, আত্মহত্যা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী। তবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। প্রায় চার মাস তদন্তের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ দাবি করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরীর মৃত্যুর তিনদিন আগে কানাডা থেকে দেশে আসেন তার স্বামী ইফতেখার আবেদিন। সেদিন স্বামীকে বিমানবন্দরে আনতে গিয়েছিলেন এলমা একাই। সঙ্গে ছিলেন চালক।
১৪ ডিসেম্বর রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এলমাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয় তার।
এলমা চৌধুরীকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন বনানী থানায়। আসামি করা হয় তার স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে। মামলাটির তদন্ত আসে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ কয়েকদফা রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে করে এলমার স্বামীকে। তদন্তের স্বার্থে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে করা হয় এলমার মা-বাবা এবং শ্বশুর-শাশুড়িসহ অনেককেই।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গোয়েন্দারা ঘটনাস্থল অর্থাৎ বনানীর সেই বাসাটি পরিদর্শন করেন একাধিকবার। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় গুরুত্বপূর্ণ আলামত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে আত্মহত্যা করেছিলেন এলমা চৌধুরী। তবে এ হত্যায় প্ররোচনা ছিল তার স্বামীর।
পুলিশ বলছে, স্বামীর সঙ্গে কানাডায় স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন এলমা। এবার দেশে আসার পর এ নিয়ে সৃষ্টি হয় পারিবারিক কলহ। মৃত্যুর আগে এলমাকে শারীরিক নির্যাতনের কথা স্বীকারও করেছেন তার স্বামী।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ২ এপ্রিল এলমা চৌধুরীকে বিয়ে করেন ইফতেখার। বিয়ের মাত্র একমাস আগে টিন্ডার অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল দুজনের। এলমার পরিবারের দাবি, আগের বিয়ে গোপন করার পাশাপাশি এলমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।