ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ০৭ মার্চ ২০২২ : নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে না পেরে কিছুক্ষণ পর পর শিউরে উঠছে শিশু লিজা। বর্তমানে তাকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুটিকে নির্যাতনের ঘটনায় এজাজ সাকলাইন-তানজিমা হাশেম দম্পতিকে এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
শরীর জুড়ে শুধুই দগদগে ক্ষত চিহ্ন। চার মাস ধরে চলা নির্মম নির্যাতন চলে ছোট্ট লিজার ওপর। খুন্তির ছেকা আর বাথরুমে আটকে রেখে তার যে হাল করা হয়েছে তা দেখে যে কারও গা শিউরে উঠবে।
বাবার মৃত্যু আর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর লিজা নানির কাছেই থাকতো। বাধ্য হয়ে রাজধানীর বসুন্ধরায় এজাজ সাকলাইন-তানজিমা হাশেম দম্পতির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। কিন্তু দু’মুঠো ভাতের বদলে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় ১২ বছরে এই কিশোরীকে। নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কিশোরী লিজা বলেন, আমাকে ভাজা কাঠি দিয়ে ছেকা দিয়েছে, আমাকে মেরেছে। তিনদিন বাথরুমে আটকে রেখেছে।
শনিবার রাতে ট্রিপল নাইনে প্রতিবেশীর ফোনে পেয়ে ওই বাসা থেকে লিজাকে উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চলছে লিজার চিকিৎসা। এ ব্যাপারে ভাটারা থানার ওসি মোহা. সাজেদুর রহমান বলেন, দু’দিন না খাওয়া অবস্থায় সে সার্ভেন্ট বাথরুমে আটকানো ছিল। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহা গরম করে ছেকা দেয়া হয়েছে।
রাতেই আটক করা হয় এজাজ-তানজিমাকে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে শিশু নির্যাতনের মামলা করেছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। ভাটারা থানার ওসি বলেন, মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী দু’জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এই ঘটনায় মামলা দেয়ার মতো তার কেউ নেই। তাই আমরা নিজে বাদী হয়ে মামলা দিয়ে তাদের কোর্টে সোপর্দ করেছি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের করার কথা স্বীকার করেছে এজাজ-তানজিমা।