করজোড়ে প্রাণভিক্ষা চাওয়া সেই খলিলকে খুনের কারণ জানাল পুলিশ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ; ভারতের বিহার রাজ্যে এক মুসলিম যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার পর পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সামনে এসেছে সম্প্রতি। রাজ্যে ক্ষমতাসীন জনতা দলের (ইউনাইটেড) একজন নেতা হওয়ার পরও তার এ ধরনের মৃত্যুতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনা বিহারের সমস্তিপুর জেলার। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নদীর পাড় থেকে খলিলের মরদেহ উদ্ধার হয়। সেখানকার একটি মুরগির খামারে বালিতে পুঁতে রাখা হয় মরদেহ। পরীক্ষা করে জানা যায়, পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় মরদেহ। আধপোড়া অবস্থায় লবণ দিয়ে মাটিতে পুতে দেয়া হয়, যাতে তাড়াতাড়ি পচন ধরতে পারে।

ওই ঘটনা সংশ্লিষ্ট একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিষয়টি সামনে আসে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় হামলাকারীদের সামনে হাতজোড় করে রেহাই দেয়ার জন্য কাতর আবেদন জানাচ্ছেন খলিল।

ভিডিওতে হামলাকারীদের মুখ দেখা না গেলেও বারবার খলিলকে উদ্দেশ্য করে বলা কথাগুলো স্পষ্ট শোনা গেছে। সেখানে তারা খলিলকে তীব্র ধমকের সুরে জেরা করছিল, বল! কোথায় কোথায় গরু জবাই করেছিস, কোন জায়গায় এইসব করেছিস? জীবনে কত গরুর মাংস খেয়েছিস? বাচ্চাদেরও গরুর মাংস খাওয়াস? গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের নাম বল।

দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের দাবি, গোরক্ষা বা মুসলিম বিদ্বেষ নয়; টাকার জন্যই হত্যা করা হয় খলিলকে। সমস্তিপুর পুলিশ সুপার হৃদয় কান্ত জানান, অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খলিল স্থানীয় নেতা হওয়ার সুবাদে টাকার বিনিময়ে একজনকে রেলওয়েতে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ১৮-২০ বছর বয়সী। ভিডিওটি উত্তেজনা ছড়ানো ও পুলিশকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।