পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুনের মামলায় স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),জয়পুরহাট প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ : জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুনের ঘটনায় স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় শুধু সেলিম মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি নিহতের স্ত্রী আসামি আকলিমা ঘটনার পর গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের নিহত আব্দুর রহিমের (৩৭) স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৭), শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৪) ও গোপালপুর গ্রামের মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল (৩৭)।

নিহত রহিম বাদশা (৩৭) দিনাজপুর জেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাদার ছেলে। তিনি একজন ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন।

জানা গেছে, স্বামীর সহকারী হিসেবে কাজ করত সেলিম মিয়া। এই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ সম্পর্কের জেরে তারা অবৈধ সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা আকলিমা খাতুনের স্বামী রহিম বাদশাকে তাদের পথের কাঁটা মনে করেন। তারা রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে আকলিমারর পরকীয়া প্রেমিক সেলিম মিয়া তার বন্ধু আইনুলকের নিয়ে রহিম বাদশাকে মাইক্রোবাসের মধ্যে গলাকেটে হত্যা করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দি নামের স্থানে রাস্তার ধারে মাইক্রোবাসে চালকের আসনে বসা অবস্থায় মরদেহ রেখে চলে যান। এরপর পরদিন ১১ জুলাই নিহত রহিম বাদশার বাবা শাহাদত হোসেন ওরফে সাদা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা করেন।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার ওসি তদন্ত কিরণ কুমার, ১৩ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের পরকীয়ার প্রেমিক সেলিম মিয়া, ১৪ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও ১৬ জুলাই আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান।

এদিকে গ্রেপ্তার পর তিন আসামিই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এবং ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার ওসি তদন্ত কিরণ কুমার রায় তিন জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি জানান, আসামি আকলিমা জামিনে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।