ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ময়মনসিংহের ত্রিশাল প্রতিনিধি, রোববার, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ : মামলা নেই, তবু আসামি হয়ে কারাবন্দি ময়মনসিংহের এক যুবক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বরগুনার অস্ত্র মামলার আসামি তিনি। কিন্তু সেখানকার থানা ও আদালত বলছেন, তার নামে এমন কোনো মামলা নেই। এদিকে মুক্তি মিলছে না, অটোরিকশা চালক বুলবুলের।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জামতলী গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস বুলবুল ইসলামের। পেশায় অটোরিকশা চালক। গত ২০ জানুয়ারি বাড়ির সামনে থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় ত্রিশাল থানার পুলিশ। অভিযোগ বরগুনা জেলার সদর থানার ২০১৮ সালের অস্ত্র মামলার আসামি তিনি।
ভাইকে ছাড়াতে ময়মনসিংহ আদালত পারায় ঘুরছেন স্বজনরা। গিয়েছেন বরগুনা আদালতেও। কিন্তু ভুয়া মামলা হওয়ায় কোনো কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
স্বজনরা জানান, বরগুনার আদালতে আমরা যোগাযোগ করে মামলার কোনো নথিপত্র পাইনি। ওখান থেকে একটা কাগজ দিয়েছে আমাদের। আমরা সেই কাগজগুলো এখানে কোথায় দেখাবো তাও খুঁজে পাচ্ছি না। আমার ভাই গত এক সপ্তাহ ধরে বিনা অপরাধে জেলে আছে। আমাদের জানা মতে আমাদের এমন কোনো শত্রু নেই। যার ফলে আমাদের এতো বড় একটা মামলা দিবে।
বরগুনা জেলার যে মামলায় বুলবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেই মামলার কোনো অস্তিত্ব নেই বলে স্বীকার করেছে বরগুনা সদর থানার পুলিশ। এমনকি মামলার কোনো তথ্য নেই আদালতেও।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, আমাদের থানার রেজিস্টারপত্র পর্যালোচনা করেছি। ২০১৮ সালে এই থানায় অস্ত্র আইনে কোনো মামলা হয় নি। যেহেতু অস্ত্র আইনে এরকম কোনো মামলাই হয়নি। সেখানে আমাদের তদন্ত করারও কোনো প্রয়োজন নেই।
ত্রিশাল থানার দাবি, ওয়ারেন্ট থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বুলবুলকে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন বলেন, বাইরের জেলা থেকে যে সমস্ত ওয়ারেন্ট আসে। সাধারণত আগে পুলিশ সুপারের অফিসে আসে। ওখান থেকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের কাছে পাঠানো হয়। তারপর ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে একটা প্রসেস হয়ে চালান মোতাবেক আমাদের থানায় আসে। তার পর আমরা আসামিকে আটক করি। এরপর আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পরিবারের দাবি ওয়ারেন্ট থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় যে বা যারা জড়িত তাদের কে খুঁজে বের হরতে হবে। পাশাপাশি আর একটি দিনও যেন বুলবুলকে কারাগারে না থাকে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে সংশ্লিষ্টরা।