আবারও দখলদারের কবলে তেজগাঁওয়ের সড়কগুলো (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ০৯ জানুয়ারি ২০২২ : আবারও ট্রাকের দখলে তেজগাঁও এলাকার সড়কগুলো। ব্যস্ত রাস্তায় অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে উদ্ধার করা রাস্তাগুলো আবারও চলে যাচ্ছে দখলদারদের কবলে।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অবৈধ ট্রাকের দখল থেকে তেজগাঁওয়ের সড়কগুলো উদ্ধার করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। দখলমুক্ত হয় আশপাশের সংযোগ সড়কগুলোও।

নজরদারির অভাবে ছয় বছরের মাথায় আবার সেই পুরোনো চেহারায় মেয়র আনিসুল হক সড়কসহ আশপাশের রাস্তাগুলো। ব্যস্ত রাস্তার ওপরই পার্কিং করা হয়েছে ট্রাক আর কাভার্ড ভ্যান। সকাল-বিকাল যানজট লেগেই থাকছে।

এক পথচারী বলেন, রাস্তাগুলো যানজটমুক্ত রাখার জন্য খুব সুন্দর একটা পরিবেশ দিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি (আনিসুল হক) চলে যাওয়ার পর এগুলো দেখার জন্য কেউ নেই।

ভেতরের সড়কগুলোর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কোনও কোনও সড়কের পুরোটাই ট্রাকের দখলে। কেউ আবার ট্রাক মেরামতের কারখানাও গড়ে তুলেছেন সড়ক দখল করে। অথচ রেললাইন ঘেঁষে রয়েছে অস্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড। যেখানে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান রাখতে অনীহা কিছু চালক-মালিকের। তাদের একজন বলেন, আমাদের একটাই দাবি, আমাদের জায়গা নির্ধারিত কোনও জায়গায় সেটিং করে, আমাদের যদি ওখানে পাঠায় তাহলে আমি যাব। ব্যবস্থা করার আগে যদি বলে যেতে তাহলে আমরা কোথায় যাব?

বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের নেতাদের দাবি, স্থায়ী টার্মিনাল না হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি তালুকদার মো. মনির বলেন, আমরা বদ্ধ পরিকর আমরা সড়কে গাড়ি রাখব না। কিন্তু এখানে যে জায়গা, এখানে গাড়ি ধরে না। এজন্য কিছু কিছু সময় গাড়ি সড়কে রাখে। আমরা এখানে গাড়ি রাখতে নিষেধ করি, পুলিশ প্রাশসনও নিষেধ করে। কিন্তু ইদানীং পুলিশের কোনও তৎপরতা না থাকায় রোডে গাড়ি রাখে।

স্থায়ী টার্মিনালের জন্য এখনও জায়গা খুঁজছে নগর কর্তৃপক্ষ। আর নিয়মিত নজরদারির প্রশ্নে সেই পুরোনো রেকর্ড কর্মকর্তাদের মুখে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, কিছু কিছু ট্রাক নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে মাঝেমধ্যে রাস্তায় চলে আসে। আমাদের মোবাইল কোর্টগুলো সক্রিয় আছে। ইতোমধ্যে একটা জায়গার জন্য আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। জায়গা পেলে আমরা একটি অত্যাধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছি। ট্রাক নিয়ে এখানে জটিলতা সৃষ্টি হয়, সেটি যেন ভবিষ্যতে না হয় তার জন্য আমরা তৎপর আছি। আমরা চেষ্টা করছি তেজগাঁওয়ের যে পুরোনো সৌন্দর্য উদ্ধার করেছিলাম, সেটি যেন ধরে রাখতে পারি।

রাস্তা দখলমুক্ত রাখতে উদাসীনতা আর টার্মিনালের জন্য স্থান নির্বাচনে দীর্ঘসূত্রিতায় নগর কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।