ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ : মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ। পূর্বাঞ্চলীয় গভীর জঙ্গলে চলছে এই কার্যক্রম।
থাইল্যান্ড সীমান্ত গভীর জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে সামরিক ঘাঁটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এমন তথ্য উঠেছে। পুরুষদের পাশাপাশি এসব ক্যাম্পে নারীরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্ত কারেন প্রদেশের গভীর জঙ্গলে চলছে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পুরুষদের পাশপাশি দেশটির নারীরাও অস্ত্র হাতে নিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের কারণে বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠীতে ভিড় করছেন দেশটির বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। প্রতিদিনই ট্রাকে করে দুর্গম পথ মারিয়ে গভীর জঙ্গলে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে।
তারা বলছেন, সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কারণে বাস্তচ্যুত হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন। বিদ্রোহীরা বলেন, অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো সুযোগ ছিল না। বাধ্য হয়ে আমরা আজ বনজঙ্গলে বাস করছি। মিয়ানমারে বিপ্লব ঘটাতে চাই আমরা।
সশস্ত্র এ প্রশিক্ষণের বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টর্স মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এদিকে, মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে আর্জেন্টিনার আদালতে দায়ের করা একটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঐ মামলায় সাক্ষ্য দেন মৌং তুন খিন নামে এক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী। ২০১৯ সালে দায়ের করা ঐ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন নৃশংসতার চিত্র উঠে আসে।