১৪ দিন পর সার্জেন্টের মামলা নিল পুলিশ, আসামি অজ্ঞাত

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ : রাজধানীর বনানীতে গাড়ির চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং আহত হওয়ার ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর মামলা নিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে মামলাটি নেওয়া হয়েছে বলে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।

গত ২ ডিসেম্বর রাত সোয়া ২টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি ইউলুপে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় একটি গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন মনোরঞ্জন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঘটনার পর থেকে মামলার অভিযোগ নিয়ে ঘুরছিলেন তার মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। শেষ পর্যন্ত দায়ের হওয়া মামলায় ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি’ করা হয়েছে জানিয়ে ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, আজকেই মামলাটি থানায় রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর ২৫।

মামলা নিতে সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাই করার প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই-বাছাই করে মামলা নিয়েছি।

এরআগে বিজিবির সাবেক সদস্যকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় তার পুলিশ সার্জেন্ট মেয়ের মামলা না নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এইচআরএফবি। এর আহ্বায়ক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল।

সংবাদ বিবৃতিতে এইচআরএফবির জানিয়েছে, রাজধানীর গুলশানে মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে এক নারী পুলিশ সার্জেন্টের বাবাকে চাপা দেওয়ার ঘটনার ১২ দিন পরও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।

‘গণমাধ্যমের খবর, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না কর্মকর্তারা। এইচআরএফবি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

বিবৃতিতে একইসঙ্গে ভূক্তভোগীর নৃ-তাত্ত্বিক কিংবা অভিযুক্তের পারিবারিক পরিচয় কোনোভাবেই যাতে বিচারলাভের অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় এবং আলোচিত এ ঘটনা যাতে ভুক্তভোগীর পেশাগত ও পারিবারিক জীবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের পেশাগত জীবনে এ ঘটনা যেন কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করা এবং মনোরঞ্জন হাজংয়ের সুচিকিৎসার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।