ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ : সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট পিটিশনের বিষয়ে কোনো আদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এটি জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ বলেছেন, সংক্ষুব্ধ যে কোনো ব্যক্তি মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ চ্যালেঞ্জ করে সংসদের স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। রিট আবেদনটি এই পর্যায়ে অপরিপক্ক।
বেঞ্চ আবেদনটি ‘স্ট্যান্ড ওভার’ (শুনানির জন্য অপেক্ষমান) রাখা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার একদিন পর গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে আবেদনটি জমা দেন।
আবেদনে বলা হয়, মুরাদ অশ্লীল মন্তব্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে তার শপথ লঙ্ঘন করেছেন।
উল্লেখ্য, ডা. মুরাদ হাসান সম্প্রতি ভার্চুয়াল টকশোতে তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তার এ বক্তব্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তার পদত্যাগের দাবি উঠে।
এছাড়া ঢাকার সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে তার অডিও ফাঁস হলে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।