ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ : বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি আর অশালীন বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন দল থেকে বহিষ্কার হলেন তিন নেতা। দু’জন হারিয়েছেন জনপ্রতিনিধির পদও। কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে? এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, পরিমিতি বোধ আর কাণ্ডজ্ঞানের অভাবে খেই হারিয়ে ফেলছেন কেউ-কেউ।
ক্ষমতার দম্ভে হুংকার আর অশালীন মন্তব্য এর জেরে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষমতাসীন দলের পদ নেই তিন নেতার দুজন হারিয়েছেন স্থানীয় সরকারের চেয়ারও।
দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় এ জন্য নেতারা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে কিনা এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, পরিমিতি বোধ আর কাণ্ডজ্ঞানের অভাবে খেই হারিয়ে ফেলছেন কেউ কেউ। তবে কারও অপরাধই লুকাচ্ছে না দল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যে দল মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার ভরসা দেয়, সে দলের একজন দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে যদি কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বা হীন কথাবার্তা বলে তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য না।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে যোগ্য মনে করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেছে তারা তাদের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এটি তাদের একধরনের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কিংবা সরকার ব্যর্থ হয়েছে এ ধরনের কোনো কারণ নেই।
পরিচ্ছন্ন রাজনীতি আর গণতন্ত্র পেতে অশালীন মন্তব্যকারী অন্য দলের নেতাদেরও এমন বিচার চায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের একজন অভিভাবক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। একইভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যরা যারা প্রতিপক্ষকে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ প্রধান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগের নারী নেতা, অন্য পেশার নারী সদস্যদের যেভাবে অপমান করেন, অসম্মান করেন তাদেরও একইভাবে বিচার হওয়া উচিত।
সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দলের নেতারা আরও সতর্ক হবেন বলেও আশা করেন সরকার দলীয় নেতারা।