ডা. মুরাদ কার এজেন্ট?

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ : যৌন হয়রানিমূলক, বিকৃত, বর্ণবাদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। পাশাপাশি নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে অশ্লীল আহ্বানের কল রেকর্ড ফাঁসের পর চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সচিবালয়ে ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান মুরাদ। তবে সেই পদত্যাগপত্রে ভুল পাওয়ায় মুরাদের কাছে সেটির সরাসরি হার্ডকপি চাচ্ছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

এদিকে এমন পস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডা. মুরাদ হাসানকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টা ৬ মিনিটে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন-

‘কথাগুলো অনেকের কাছে খাপছাড়া মনে হতে পারে। তবুও কিছু সমীকরণ মিলাবো। ডা. মুরাদ হাসানের গত কয়েক মাসের কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ করলে কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়া যাবে।

তিনি রাষ্ট্র ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে আমার মতো অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনেকেই একমত। তবুও এই সময়ে, কোনো ইস্যু ছাড়া হঠাৎ করে তার এই বক্তব্য দেওয়ার কারণ কী? যখন দেশে জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন চলছে। এইখানে তিনি মোল্লাদের ক্ষেপিয়েছেন।

বেগম জিয়ার পর বিএনপির নেতৃত্বে কে আসবেন- এটা এখন খুবই আলোচিত বিষয়। দলের একটি গ্ৰুপ ছাড়া পুরা জাতির কাছেই তারেক রহমান চরম বিতর্কিত ব্যক্তি। কর্মকাণ্ডে তার আর মুরাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। ভাবা হচ্ছিল তারেক রহমানের বউ ডা. জুবাইদা হয়তো বিএনপির হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও অনিচ্ছুক। সেই জন্যেই কি চরম অশ্লীল মন্তব্য করে জাইমা রহমানকে লাইম লাইটে নিয়ে আসার চেষ্টা? তার প্রতি নারীদের সহানুভূতি তৈরি করা? এইখানে তিনি বিএনপি এবং নারীদেরকে বিক্ষুব্ধ করেছেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। ছাত্রী হলের মেয়েদেরকে নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছেন। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেপলে কী হয়, তা মি. মুরাদ খুব ভালো করেই জানেন। আর এর সঙ্গে যদি মেয়েরা মাঠে নামে তো কোনো কথাই নেই। এইখানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেপিয়েছেন।

এরপর তিনি হয়তো সিরিয়ালি হাইকোর্ট তথা আইনজীবী এবং প্রেসক্লাব তথা সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেন। এইসব গোষ্ঠীকে বিক্ষুব্ধ করতে পারলে সরকারের পতন ঘটাতে আর কিছু লাগে না। একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে চরম আপত্তিকর কথাগুলো তিনি বলেছেন দুই বছর আগে। দুই পক্ষের কেউই এটা রেকর্ড করে অনলাইনে ছাড়েননি। তাহলে কীভাবে বাইরে এলো? একটু মাথা খাটান। উত্তর পেয়ে যাবেন। সরকারের আরও সর্বনাশ করার আগেই ধরা খেয়েছেন। সরকারকে বিনাশ করতে গিয়ে নিজেই বিনাশ হয়ে গেছেন। কপালে হয়তো আরও শনি আছে।

মনে রাখা দরকার ডা. মুরাদ একসময়ের ছাত্রদল নেতা। কিন্তু তার বাবা মতিউর রহমান তালুকদার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। ওই পরিবারের সন্তান হয়ে মুরাদের রাজনীতি শুরু ছাত্রদল দিয়ে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে হয়তো তিনি এখন বিএনপির রাজনীতিই করতেন।’