বসে থেকে বেতন নিচ্ছেন বেশিরভাগ চালক, গাড়ি ক্লিনার-হেল্পারদের হাতে (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১ : ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৩৭টি গাড়ি চালান মাত্র ৮৬ জন ড্রাইভার। তাদের বেশিরভাগই আবার নিজে গাড়ি না চালিয়ে চাবি তুলে দিয়েছেন ক্লিনার, মশক নিধনকর্মীসহ হেল্পারদের হাতে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসবের দায় নগর কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সায়েদাবাদের এই ডিপোতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ময়লা পরিবহনের গাড়ি আছে ৩৩৭টি। বিপরীতে স্থায়ী চালক আছে মাত্র ৮৬ জন। তাহলে বাকি গাড়িগুলোর চাকা ঘুরছে কীভাবে? সম্প্রতি দুই সিটিতে দুটি দুর্ঘটনার পর উঠে আসে চালকদের অদক্ষতাসহ নানা অভিযোগ। সেটি যাচাই করতে রাজধানীর সায়েদাবাদে ময়লার ডিপোতে গেলে তৈরি হয় অদৃশ্য এক বাঁধার দেয়াল।

চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালনার কোনো নিয়ম না থাকলেও সেখানকার বেশিরভাগ গাড়ির স্টিয়ারিং থাকে সুইপার, হেল্পার বা মশককর্মীদের হাতে। আর বসে বসে বেতন নিচ্ছেন সেখানে কর্মরত বেশিরভাগ স্থায়ী চালক।

সেখানে একজন বলেন, বহুদিন ধরে এখানে। লাইসেন্স থাকলে ড্রাইভার শট থাকায় অস্থায়ীভাবে চালাতে অফিসাররা। অনেক ড্রাইভার সিনিয়র হয়ে গেছে চালায় না। নিয়ম নাই। তবে আগে থেকেই অনিয়ম চলছে। তাদেরকে পুলিশও ধরে না, কেউ জিজ্ঞাসাও করে না তারা ড্রাইভার নাকি হেল্পার।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে চালক সংকটের জন্য বিআরটিএ-কে দায়ী করলেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, এ বিষয়টা যখন প্রথম আমার নজরে আসলো যে আমাদের পর্যাপ্ত গাড়িচালক নেই, তখন আমরা নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ৩২ জনকে আমরা চূড়ান্ত করেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে বিআরটিএ থেকে যথসময়ে লাইসেন্স না দেওয়ায় আমরা মাত্র ১৯ জনকে নিয়োগ দিতে পেরেছি।

অন্যদিকে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার দায় সিটি কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, যারা চালকের আসনে বসে আছেন, তারা সড়কে যে নিয়ম কানুন আছে, তারা সেটা মানছেন না। কারণ তারা মূলত পরিচ্ছন্নকর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত। যেকোনো দুর্ঘটনা হলে আমরা সাধারণত চালককেই দায়টা দেই, কিন্তু আসলে যারা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে, তারা এর দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না।

ঢাকা দক্ষিণের মতো একই অবস্থা উত্তর সিটিতেও। যেখানে ১৩৭টি ময়লার গাড়ির বিপরীতে আছে মাত্র ৪১ জন স্থায়ী চালক। তবে এতসব অনিয়ম ও অব্যস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও অনেকটাই নির্বিকার নগর কর্তৃপক্ষ।