ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ : আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কর্মচারী সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফজলে এলাহি।
যারা এই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি তাদেরকে খুঁজে বের করার মিশনে নেমেছে চ্যানেল24 এর টিম সার্চলাইট।
প্রশ্ন ফাঁসের আরো এক মাস্টারমাইন্ড খোকন। সেও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আগেই ধরা পড়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোহেল রানাকে গ্রপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সোহেল রানা। ২০১৩ সাল থেকে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। টিম সার্চ লাইটকে তিনি বলেন, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ৬০ লাখ টাকা কন্টাকের বিনিময়ে ফাঁস করা হয়। ১৭৫ জনের কাছে এই প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
আশুলিয়ার খাগান এলাকা, মূল সড়কের পাশে রয়েছে আহসানিয়া মিশনের প্রেস। এখান থেকেই ছাপা হয়েছে সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন। নিরাপত্তা চৌকি কিংবা কোনো তল্লাশি ছাড়াই টিম সার্চ লাইট ভেতরে ঢুকে পড়ে। প্রেসের তত্ত্ববধায়ক তোজাম্মেল হোসেন বলেন, এখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই।
তবে এই প্রেস থেকেই ফাঁস হয় সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন। প্রেসে বাইন্ডিং হিসেবে কাজ করেন রবিউল। তিনি মূলত এই প্রশ্ন ফাঁস করেছেন।
রাজশাহীর চারঘাট এলাকা। স্থানীয় পুলিশের সহায়তার সেখানে অভিযান শুরু হলো। অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেল প্রশ্নফাঁসের অন্যতম হোতা দোলোয়ারকে। যিনি গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
এই দেলোয়ারের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেলে প্রশ্নফাঁসে শুধু তারাই নয় জড়িত রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকও। যিনি শিক্ষকতা করেন ইনডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. নিখিল রঞ্জন ধর। যিনি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে থাকা প্রশ্নপত্র ছাপা এবং পরীক্ষা আয়োজনের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু তার দায়িত্ব কাগজে-কলমে ছিল না।