হাইকোর্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দোকান ভাঙল কাদের মির্জা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ : আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার লোকজন দিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতির পারিবারিক মার্কেটের অংশ ভেঙে দিয়েছেন।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে মোহাম্মদী সুপার মার্কেট নামের দুই তলা বিশিষ্ট বিপণী বিতানটি ভাঙা শুরু করেন মেয়র কাদের মির্জা ও তার লোকজন।

মার্কেট ভাঙা শুরু হলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই সেলিমের ছোট ভাই বেলায়েত হোসেন স্বপন বিষয়টি নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে মুঠোফোনে অবহিত করেছেন।

প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিপণী বিতান ভাঙার কাজ অব্যাহত রয়েছে।

হঠাৎ করে বিপণী বিতান ভাঙচুর শুরু করলে এখানকার ব্যবসায়ীরা হতবাক হয়ে পড়ে। এতে দোকানে থাকা ব্যবসায়ীদের মালামাল নষ্ট হয়ে তারা বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।

জানা গেছে, বিপণী বিতানের যে অংশ ভাঙা হচ্ছে সেখানে ১২জন ব্যবসায়ীর বিভিন্ন পণ্যের দোকান ছিল। কিন্তু মেয়র ও তার লোকজনের ভয়ে ব্যবসায়ীদের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে ভাঙচুর শুরু হওয়ার পর অনেকে নিরুপায় হয়ে কিছু মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ও তার শতাধিক অনুসারীর উপস্থিতিতে পৌরসভার কর্মচারী ও শ্রমিকেরা বসুরহাটের জিরো পয়েন্টের ওই বিপণী বিতানের খাল পাড়ের প্রায় ১০ ফুট অংশ ভাঙা শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল হাই সেলিম পারিবারিকভাবে প্রায় ১৬ শতাংশ জমির ওপর বিপণী বিতানটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়।

আবদুল হাই সেলিমের ছোট ভাই বেলায়েত হোসেন স্বপন জানান, তাদের বিপণী বিতানটি সরকারি জায়গায় পড়েছে দাবি করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে কাদের মির্জা তাদেরকে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির বিরুদ্ধে তারা জেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। পরে ওই বছরের ৪ মার্চ আদালত থেকে বিপণী বিতানের বিষয়ে ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার জন্য আদেশ জারি করা হয়। ওই আদেশ এখনো বলবত রয়েছে। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কাদের মির্জা দলবল নিয়ে বিপণী বিতানটি ভাঙা শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ আজ বিকেল ৫টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, এটি বসুরহাট পৌরসভার বিষয়। পৌরসভার কার্যক্রম সম্পূর্ণ পৌর মেয়রের এখতিয়ার। দলীয় কেন বিষয় হলে আমি সে বিসয় মতামত দিবো।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ওই বিপণী বিতানের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মেয়র কাদের মির্জাকে জানানো হয়েছে। তিনি স্থগিতাদেশ না মানলে আমরা কি করতে পারি।