ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ : ইয়াবার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন শফিউল্লাহ; সেখানেই পরিচয় হয় আরেক মাদক ব্যবসায়ী মোকলেসের সাথে। কারাগারে বসে হাইকোর্ট থেকে জামিন জালিয়াতির পরিকল্পনা করেন তারা। পরে যা ধরা পড়ে।
২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৩০ হাজার টাকাসহ গোপালগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন শফিউল্লাহ খান। ঐদিনই সদর থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরের মাসে জামিন চাইলে গোপালগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট ও জজ আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
জালিয়াতির শুরু এরপরই। ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাকে মাত্র ২০টি দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। পরিমানে কম হওয়ায় বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের বেঞ্চ তাকে জামিন দিয়ে দেন। মুক্তি পান, শফিউল্লাহ খান। জালিয়াতির বিষয়টি নজরে এলে, মামলা করার নির্দেশ দেন, হাইকোর্ট। আসামি করা হয় ১০ জনকে। তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
সিআইডির সেই তদন্ত রিপোর্ট এসেছে, চ্যানেল 24 এর হাতে। যেখানে বলা হয়, পুরো ঘটনাটির পরিকল্পনা হয়েছে কারাগারে বসে। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ অভিযুক্ত ১৪ জন। জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বলছেন, আইনজীবীদের এভাবে অনিয়মে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত লজ্জাজনক।
সিআইডি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, পুরো ঘটনার আঞ্জাম দিয়েছেন কারাগারে থাকা মাদক মামলার আসামি মোকলেস। জালিয়াতিতে বাকি ৯ আসামির বিরুদ্ধে মামলা আছে ২৮টি। এর মধ্যে যাকে ঘিরে এতকিছু, সেই শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা ৮টি।